শুক্রবার সাঁতরাগাছি স্টেশনে দূরপাল্লার যাত্রীদের সমস্যা নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। —নিজস্ব চিত্র।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সাঁতরাগাছি স্টেশনে দূরপাল্লার যাত্রীদের সমস্যার খানিকটা সুরাহা করলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। শনিবার থেকে এই স্টেশনে আসা বেশি কামরার দূরপাল্লার ট্রেনগুলিকে ১ নম্বরের পরিবর্তে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি, আকারে ‘ছোট’ ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দ্রুত সম্প্রসারণ করা হবে বলেও আশ্বাসও দিয়েছেন। শুক্রবার এ নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার পরেই রেলের এমন সিদ্ধান্ত।
রেল সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ সাঁতরাগাছি স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বেশি কামরার দূরপাল্লার ডাউন চেন্নাই-শালিমার করমণ্ডল এক্সপ্রেসটি দাঁড়ায়। ফলে যাত্রীদের সুবিধায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদক্ষেপ করল রেল।
এত দিন যাত্রীদের অভিযোগ ছিল, সাঁতরাগাছির ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মটি আকারে ছোট। ফলে সেখানে বেশি কামরার দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড়ালে কয়েকটি কামরা প্ল্যাটফর্মের বাইরে রয়ে যেত। ওই কামরাগুলিতে ওঠার জন্য প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইনের ধারে বা তার উপরে নামতে হত তাঁদের।
এই সমস্যার প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ১০ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার। সে খবর প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসেন দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ-পূর্ব রেল মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুক্রবার আদিত্যকুমার চৌধুরী আশ্বাস দিয়েছিলেন, যাত্রীদের এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘বেশি কামরার দূরপাল্লার ট্রেনগুলি এ বার থেকে ১ নম্বরের পরিবর্তে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসবে। শনিবার ডাউন চেন্নাই-শালিমার করমণ্ডল এক্সপ্রেস ৪ নম্বরে দাঁড়িয়েছে। বাকি ট্রেনগুলিও এই প্ল্যাটফর্মেই দাঁড়াবে। সেই সঙ্গে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম খুব দ্রুত সম্প্রসারণ করা হবে।’’
দক্ষিণ-পূর্ব রেল শাখায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন সাঁতরাগাছি। পাশাপাশি, হাওড়া স্টেশনের উপর চাপ কমাতে এই স্টেশনকে আরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। লোকাল ট্রেন ছাড়াও প্রতি দিন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দূরপাল্লার ট্রেন এই স্টেশনে দাঁড়ায়। তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ ভারত, মহারাষ্ট্র এবং ওড়িশা থেকে হাওড়া অথবা শালিমার স্টেশনগামী ট্রেনগুলিও। প্রতি দিন অংসখ্য যাত্রী এই জংশনে নেমে গন্তব্যের দিকে রওনা দেন। তবে একটি প্ল্যাটফর্মের আকার নিয়ে অভিযোগ ওঠায় দ্রুত পদক্ষেপ করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। এ বার দূরপাল্লার যাত্রীদের বৃহৎ অংশের এই সমস্যা কিছুটা হলেও মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy