প্রতীকী ছবি
সিবিআই বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) নয়। এ বার দক্ষিণ ২৪ পরগনায়, তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সভাপতির বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে পুলিশকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল জেলাশাসকের দফতর। ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির ওই সভাপতি জাহাঙ্গির খানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল জেলাশাসকের দফতরে। জাহাঙ্গির ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত।
জাহাঙ্গির বলেন, ‘‘আমি সাংসদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তাঁকে এবং আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে। তদন্ত হচ্ছে। আমিও অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইনি পথে লড়াই করব।’’ প্রশাসন সূত্রের খবর, নামে-বেনামে জাহাঙ্গির প্রায় ২০০ কোটি টাকার মালিক বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ডায়মন্ড হারবার ও মগরাহাট থানা এলাকায় তাঁর দুই আত্মীয়ের নামে অধিকাংশ সম্পত্তি কেনা হয়েছে। তা ছাড়া, জাহাঙ্গিরের ঘনিষ্ঠদের কাছে তাঁর প্রচুর নগদ টাকাও রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জাহাঙ্গিরের দুই আত্মীয়ের নামও উল্লেখ করেছেন অভিযোগকারী। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২১ জুন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপারকে চিঠি (মেমো নম্বর ৬৩৩/ইএন /পিজি) দিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
কয়লা ও গরু পাচার মামলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূলের একাধিক নেতা সিবিআই ও ইডি-র নজরে রয়েছেন। সম্প্রতি ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ও তাঁর আপ্তসহায়ক সাদেক হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তাঁদের বিরুদ্ধেও আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি থাকার অভিযোগ উঠেছে বলে সিবিআইয়ের দাবি।
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হয়েছেন জাহাঙ্গির। রাজ্য সরকার তাঁকে ‘ওয়াই ক্যাটাগরি’-র নিরাপত্তা দিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ফলতার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হলেও তিনিই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদ পরিচালনা করেন। আলিপুরে জেলা পরিষদের অফিসে তাঁর জন্য একটি নির্দিষ্ট ঘর বরাদ্দ করা রয়েছে। জেলা পরিষদের কর্মকাণ্ড নিয়ে অফিসারদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করেন জাহাঙ্গির।
জেলার নেতাদের একাংশের কথায়, তিনি কতটা প্রভাবশালী, তা তাঁর নিরাপত্তার বহর দেখলেই বোঝা যায়। তাঁরা জানান, সাত বছর আগেও জাহাঙ্গির পোশাক তৈরি করতেন। শাড়িতে এমব্রয়ডারির কাজ করতেন। অভিযোগ, ২০১৮-র পঞ্চায়েতে জিতে সাংসদ ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরে জাহাঙ্গির ফুলে-ফেঁপে ওঠেন। জাহাঙ্গির অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy