(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়ে গিয়েছে। তিনি আসবেন বলে কথাও দিয়েছেন। ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচির সব কিছু ঠিক হয়ে গেলেও এখনও ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসা নিয়ে। আয়োজকদের পক্ষে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমন্ত্রণ জানাতে যাওয়ার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনও দেখা করার সময় দেননি। সময় দিলেই সাধু-সন্তদের দল যাবে আমন্ত্রণের চিঠি নিয়ে। মমতা আসতে রাজি হলে প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চেই থাকবে তাঁর আসন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন গীতাপাঠ কর্মসূচির আয়োজক সংস্থার সহ-সভাপতি নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচির সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকেই অনুষ্ঠানে আসতে চেয়েছিলেন। সকলের সঙ্গে গীতাপাঠ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজি হলে তাঁকেও যথাযথ সম্মানে স্বাগত জানানো হবে।’’
যা ঠিক আছে, আগামী শনিবার ব্রিগেডে ভূমিপূজন করে মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে যাওয়া পুরীর মন্দিরের ধ্বজ তার আগেই স্থাপন করা হবে ব্রিগেড ময়দানে। দু’টি পৃথক মঞ্চ বাঁধা হবে। একটি সাংস্কৃতিক কর্মসূচির জন্য এবং অন্যটি অতিথিদের বসার। ওই মঞ্চেই বসবেন প্রধানমন্ত্রী। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘পার্থসারথি মঞ্চ’। যদি মুখ্যমন্ত্রী আসতে রাজি হন, তবে তিনিও ওই মঞ্চেই বসবেন। এ ছাড়াও থাকবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং দ্বারকামঠের বর্তমান শঙ্করাচার্য স্বামী সদানন্দ সরস্বতী।
অনুষ্ঠানের সূচনায় হবে একটি শোভাযাত্রা। সেই শোভাযাত্রায় থাকবে মহাভারতের যুদ্ধ হওয়া কুরুক্ষেত্রের মাটি। শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে যখন শঙ্করাচার্য মঞ্চে উঠবেন তখন সাংস্কৃতিক মঞ্চে হবে গান। কাজি নজরুল ইসলামের লেখা, ‘‘হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ/ চিত্তের অবসাদ দূর কর কর দূর, ভয়–ভীত জনে কর হে নিঃশঙ্ক,’’— গানটি। ৬০ হাজার শঙ্খ বাজবে সেই সময়। এর পরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী-সহ অন্য অতিথিরা। যা জানা গিয়েছে, মোদী মঞ্চে আসবেন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ।
গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে নজরুলের গান? সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী স্বামী প্রদীপ্তানন্দ বলেন, ‘‘গীতা সকলের। আমরা এই অনুষ্ঠানেও ধর্ম, মত নির্বিশেষ সকলকে আহ্বান জানিয়েছি। আর নজরুলের এই গান তো বাংলার সব মন্দিরেই গাওয়া হয়। বিশেষ করে গীতা জয়ন্তীর দিনে এই গানটি গাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, এই কর্মসূচির প্রচারেও ব্যবহার করা হচ্ছে নজরুলের লেখা পঙ্ক্তি— ‘‘ধনুকে টঙ্কার হানো হানো, গীতার মন্ত্রে জীবন দানো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy