গ্রীষ্মের দহন মাত্রা ছাড়ানোয় গরমের ছুটির আগেই সাময়িক ভাবে ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকা রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের সেই নির্দেশ মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। সম্প্রতি এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে ওই দফতরের ওয়েবসাইটে।
গরমের প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত ৯ এপ্রিল স্কুলশিক্ষা দফতর এক নির্দেশে জানায়, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না-দেওয়া পর্যন্ত প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ১১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকার-পোষিত স্কুলগুলিতে অনির্দিষ্ট কাল পঠনপাঠন বন্ধ থাকবে। আপাতত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে যেতে হলেও পড়ুয়াদের হাজির হতে হবে না। কিন্তু ওই নির্দেশ সত্ত্বেও বেশ কিছু স্কুল ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছে।
স্কুলশিক্ষা সচিবের নির্দেশ অমান্য করায় সরাসরি শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে পড়তে চলেছেন সংশ্লিষ্ট সব স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকারা। দফতরের এক কর্তা জানান, প্রথমে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআই-দের বলা হয়েছে, দ্রুত ওই সব স্কুলের ক্লাস বন্ধ রাখার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। ‘‘তার পরে ওই সব স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হবে। তাঁদের জানাতে হবে, কেন তাঁরা সচিবের নির্দেশ অমান্য করলেন। প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,’’ বললেন ওই কর্তা।
পূর্ব মেদিনীপুরে তমলুকের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, পড়াশোনার খাতিরেই ক্লাস বন্ধ রাখা হয়নি। এ দিন তিনি আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘স্কুলশিক্ষা দফতরের ওই নির্দেশ পাওয়ার পরে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করেই ক্লাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর প্রশ্ন, আবহাওয়ার মতিগতি ক্রমেই যে-ভাবে পরিবর্তিত হয়ে চলেছে, তার ফলে প্রতি বছরই গরম ক্রমশ বাড়বে। তা হলে কি দু’মাস করে ছুটি থাকবে? ওই প্রধান শিক্ষকের মন্তব্য, বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা যদি ক্লাসে যেতে পারে, অন্যেরাও পারবে। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ক্লাস চলত। এর ফলে কারও অসুবিধা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy