Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Sealdah Division

বিরাটির কাছে সেতু মেরামতি, শনিবার রাত থেকে বনগাঁ লাইনের বেশ কিছু ট্রেন বাতিল

শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা কাজ হবে বিরাটি এবং মধ্যগ্রাম স্টেশনের মাঝের ব্রিজে। যার জেরে আপ এবং ডাউন লাইনে পাওয়ার ব্লক থাকবে।

Some Bangaon, Hasnabad local train cancel due to power block on Saturday and Sunday

শিয়ালদহ ডিভিশনে একাধিক ট্রেন বাতিল। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪ ১৮:০৪
Share: Save:

আবার শিয়ালদহ ডিভিশনে ট্রেন বাতিল। শনিবার এবং রবিবার একঝাঁক ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কয়েকটি লোকালের যাত্রাপথও সংক্ষিপ্ত করার কথা জানিয়েছে পূর্ব রেল। শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা কাজ হবে বিরাটি এবং মধ্যমগ্রাম স্টেশনের মাঝের রেল সেতুতে। যার জেরে আপ এবং ডাউন লাইনে পাওয়ার ব্লক থাকবে।

পূর্ব রেল জানিয়েছে, পাওয়ার ব্লকের কারণে মূলত বনগাঁ, হাসনাবাদ শাখার ট্রেন চলাচল ব্যাহত হবে। শনিবার রাতের ওই শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেন শিয়ালদহ থেকে ছাড়বে না এবং শিয়ালদহে আসবে না। কয়েকটি লোকাল বারাসত স্টেশন অবধি যাতায়াত করবে।

কোন কোন ট্রেন বাতিল থাকবে? পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শনিবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটের বনগাঁ-শিয়ালদহ, রাত ৯টা ২৫ মিনিটের হাসনাবাদ-শিয়ালদহ বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়াও রাত ১১টা, ১১টা ৪০ মিনিটের শিয়ালদহ-বনগাঁ এবং ১০টা ১৫ মিনিটের শিয়ালদহ-হাসনাবাদ লোকাল বাতিল থাকছে। শুধু শনিবার নয়, রবিবার সকালেও ওই লাইনের কয়েকটি ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে ভোর ৩টে ০৫ মিনিটের হাসনাবাদ-শিয়ালদহ, ৬টা ১২ মিনিটের শিয়ালদহ-হাসনাবাদ, ৫টা ৪০ মিনিট এবং ৬টা ১৫ মিনিটের বনগাঁ-শিয়ালদহ, ভোর ৩টে ১৫ এবং ৪টে ১৫ মিনিটের শিয়ালদহ-বনগাঁ, ৫টা ৪২ মিনিট, ৮টা ৪৫ মিনিট এবং ৯টা ৪৩ মিনিটের দত্তপুকুর-শিয়ালদহ, ৭টা ২৬ মিনিট এবং সাড়ে ৮টার শিয়ালদহ-দত্তপুকুর, ৬টা ৩৭ মিনিটের হাবড়া-শিয়ালদহ, ৪টে ৪৫ মিনিটের শিয়ালদহ-হাবড়া লোকাল। পাশাপাশি, রবিবার সকালের দিকের মাঝেরহাট-মধ্যমগ্রাম, বনগাঁ-মাঝেরহাট, মধ্যমগ্রাম-মাঝেরহাট, মাঝেরহাট-বারাসত লোকালও বাতিল করা হয়েছে।

শুধু ট্রেন বাতিল নয়, কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথও সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। বনগাঁ, হাসনাবাদ শাখায় শনিবার রাতে এবং রবিবার সকালের কয়েকটি ট্রেন বারাসত থেকে যাতায়াত করবে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, শনিবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিট, ১০টা ৪০ মিনিট, রাত ২টো ৫৮ মিনিট, রবিবার ভোর ৪টে ২৫ মিনিট, ৫ টা ১৫ মিনিট, সকাল ৬টা ৫০ মিনিট, ৮টা ০৮ মিনিট এবং ৮টা ৩২ মিমিটের বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকাল বারাসত অবধি আসবে। আর শনিবার রাত ১০টা ৩৪ মিনিট, ১১টা ৫০ মিনিট, রবিবার ভোর ৪টে ৫৫ মিনিট, ৫টা ৫৪ মিনিট, সকাল ৭টা ১২ মিনিট, ৮টা ১০ মিনিট এবং ৮টা ৪২ মিনিটের শিয়ালদহ-বনগাঁ লোকাল বারাসত থেকে ছাড়বে।

হাসনাবাদ-শিয়ালদহ শাখায় রবিবার কয়েকটি ট্রেন বারাসত অবধি যাতায়াত করবে। সেই তালিকায় রয়েছে ৩৩৫১৪, ৩৩৫১৬, ৩৩৫১৮ হাসনাবাদ-শিয়ালদহ এবং ৩৩৫১১, ৩৩৫১৫, ৩৩৫১৭, ৩৩৫১৯ শিয়ালদহ- হাসনাবাদ লোকাল। এ ছাড়াও রবিবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের হাবড়া-শিয়ালদহ, সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটের শিয়ালদহ-হাবড়া লোকালেরও যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।

পাওয়ার ব্লকের আগে শিয়ালদহ থেকে শেষ বনগাঁ লোকালটি ছাড়বে শনিবার রাত ৯টা ৪৭ মিনিটে এবং হাসনাবাদ লোকাল ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। অন্য দিকে,বনগাঁ থেকে শেষ শিয়ালদহ লোকালটি ছাড়বে ৮টা ৪০ মিনিট এবং হাসনাবাদ থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে। রবিবার বনগাঁ থেকে শিয়ালদহের উদ্দেশে প্রথম ট্রেনটি ছাড়বে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে এবং হাসনাবাদ থেকে শিয়ালদহ আসার প্রথম ট্রেন পাওয়া যাবে সকাল ১০টা ৪৭ মিনিটে।

একই সঙ্গে ১৩১২৯ বন্ধন এক্সপ্রেস রবিবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটের পরিবর্তে ৮টা ৪০ মিনিটে কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়বে। ট্রেন বাতিল এবং যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করার জন্য যাত্রীরা অসুবিধার মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছে রেল। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই শিয়ালদহ স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ এবং ইন্টারলকিং কাজের জন্য উত্তর এবং মেন শাখায় ট্রেন বাতিলের জেরে চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়েছিল নিত্যযাত্রীদের। এমনকি, হয়রানির শিকার হন দূরপাল্লা ট্রেনের যাত্রীরাও। পাশাপাশি, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরে একাধিক এক্সপ্রেস বাতিল এবং যাত্রাপথ পরিবর্তনের কারণে ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sealdah Division Train cancel
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE