Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

মির্জার ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজত

পাঁচ দিন সিবিআই হেফাজতের পরে মির্জাকে এ দিন ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায়।

ধৃত আইপিএস অফিসার সৈয়দ মহম্মদ হুসেন মির্জা। ছবি: সোমনাথ মণ্ডল।

ধৃত আইপিএস অফিসার সৈয়দ মহম্মদ হুসেন মির্জা। ছবি: সোমনাথ মণ্ডল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:১৪
Share: Save:

এলগিন রোডের বাড়িতে গিয়ে মুকুল রায়কে টাকা দিয়েছিলেন আইপিএস অফিসার সঈদ মহম্মদ হুসেন মির্জা, সিবিআইয়ের এই দাবির উত্তরে রবিবার মুকুল রায় বলেছিলেন, এমন অভিযোগ ঠিক নয়। কোনও ভিডিয়োয় তাঁকে টাকা নিতে দেখা যায়নি। সোমবার নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতর থেকে আদালতে যাওয়ার মুখে মির্জার মন্তব্য ‘‘শুধু ভিডিয়োয় না দেখা গেলেই যে নেননি, তা তো নয়। মুখে বলে দিলাম, ভিডিয়োয় দেখা যায়নি! উনি নিজে ফোনে বলেছেন তো।’’

মুকুলের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘কিসের টাকা, কার জন্য টাকা? উনি কী বলেছেন, তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তদন্তকারীরা দেখবেন। তবে আবার বলছি, এই ঘটনার সঙ্গে আমি যুক্ত নই।’’ আর রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ দিন বলেন, ‘‘মুকুলবাবুকে সিবিআই ডেকেছে। তিনি গিয়েছেন। তিনি যে নির্দোষ, তা তাঁকেই প্রমাণ করতে হবে।’’

পাঁচ দিন সিবিআই হেফাজতের পরে মির্জাকে এ দিন ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায়। সিবিআই সূত্রের খবর, মির্জা তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। তদন্তকারীদের অনেক তথ্য দিয়েছেন। টাকা লেনদেনের কথা স্বীকার করেছেন। তাই তাঁকে আর হেফাজতে চাওয়া হয়নি। আদালত থেকে বেরিয়ে জেলের গাড়িতে ওঠার সময় মির্জা বলেন, ‘‘আমি এই দু’তিন দিনে খুব হাল্কা বোধ করছি। সব সত্যি বলেছি।’’ প্রেসিডেন্সি জেলের সেলে পৌঁছেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মির্জা। মাথা ঘুরে যায় তাঁর। পিজিতে পরীক্ষা করিয়ে জেলে ফেরানো পরে জেলের চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করেন। এখন স্থিতিশীল। রাতে রুটি-তরকারি খেয়েছেন। শুতে হচ্ছে মেঝেতে কম্বল পেতে। বাড়তি রক্ষী রয়েছে।

এ দিন মির্জার তরফে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী সায়ন দে ও জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায়। সেই আর্জির বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, মির্জা প্রভাবশালী। তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে। জামিন পেলে তিনি তদন্ত ও সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। মির্জার আইনজীবীরা পাল্টা বলেন, নারদ মামলায় এফআইআর দায়ের হয়েছে ২০১৭ সালের এপ্রিলে। রাজ্য পুলিশের এক কনস্টেবলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জেরে ওই বছর নভেম্বরে মির্জা সাসপেন্ড হন। এখনও তিনি সাসপেন্ড হয়ে রয়েছেন। মির্জা প্রভাবশালী হলে সাসপেনশন উঠিয়ে নিতে পারতেন। মুকুলকে কেন শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন মির্জার আইনজীবীরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Narada Scam Mukul Roy SMH Mirza
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy