বৃহস্পতিবার থেকে চালু হচ্ছে ‘পাড়ায় পাঠশালা’। হাওড়ার উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের বেলকুলাই সিকেএসি বিদ্যাপীঠ কাছেই তিনটি কেন্দ্র তৈরি করেছে। সেখানে প্রস্তুতির জন্য বুধবার স্কুল থেকে ব্ল্যাকবোর্ড নিয়ে যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। ছবি: সুব্রত জানা
ফের ক্লাসে আসবে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু সে পর্ব। তার আগে, বুধবার রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্তের বহু স্কুলে চোখে পড়েছে তৎপরতা। ঝাড়পোঁছ, জীবাণুনাশের ব্যস্ততা ছিল। শৌচাগারের অবস্থা, পানীয় জলের সরবরাহ ঠিক রয়েছে কি না, দেখা হয়েছে। অনেক প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা আবার স্কুলে আসা পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসানোর জন্য নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে পড়ুয়াদের স্কুলে আসার বার্তা দিয়েছে কিছু স্কুল।
কোচবিহার থেকে মালদহ, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি থেকে দুই দিনাজপুর—উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির স্কুলগুলিতে এ দিন তুঙ্গে উঠেছিল ক্লাসঘর, বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল জীবাণুমুক্ত করার কাজ। একই ছবি দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, নদিয়া, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যে বহু স্কুলে। বীরভূমে এ দিন স্কুল সাফাই, জীবাণুনাশের কাজ সরেজমিনে দেখেন জেলা শিক্ষা ও প্রশাসনের কর্তারা। পশ্চিম বর্ধমানে জেলা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দফতর, পুলিশ-প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠক করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক(শিক্ষা) সঞ্জয় পাল।
করোনা-বিধি মানার ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা দেখা গিয়েছে স্কুলে-স্কুলে। হুগলির শ্রীরামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আইভি সরকার বলেন, ‘‘করোনা-বিধি মানতে কী-কী করতে হবে, পড়ুয়াদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভিডিয়ো এবং অডিয়ো-বার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়েছে। থার্মাল গান দিয়ে ছাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা দেখে নেওয়া হবে।’’ পূর্ব বর্ধমানের বহু স্কুলই ছাত্রছাত্রীদের জন্য মাস্ক, জীবাণুনাশক রাখবে বলে জানিয়েছে। বর্ধমান ১ ব্লকের কলিগ্রাম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রানু চক্রবর্তীদের দাবি, ‘‘বাইরে থেকে টিফিন বা জল কেনা যাবে না। পড়ুয়াদের সে সব জিনিস বাড়ি থেকে আনতে বলা হয়েছে।’’
দূরত্ববিধি বজায় রাখতেও নানা স্কুল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুরুলিয়া শহরের শান্তময়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী পাল বলেন, ‘‘স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়ায়, দু’ভাগে আসতে বলা হয়েছে। প্রথম দিন অর্ধেক ছাত্রী ও পর দিন বাকিরা আসবে।’’ বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিমেষ চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রতিটি বেঞ্চে দুই থেকে তিন জনকে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পড়ুয়াদের ইউনিটে ভাগ করে, বিভিন্ন ক্লাসঘরে বসানো হবে।’’ ঝাড়গ্রাম শহরের ননীবালা বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অরুন্ধতী সেন বলেন, ‘‘কোভিড-বিধি মেনে প্রতিটি বেঞ্চে দু’জন কিংবা এক জন করে বসানো হবে।’’ পড়ুয়াদের স্কুলে আনতেও উদ্যোগী হয়েছে অনেক স্কুল। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা সামাজিক মাধ্যমে আবেদন করে পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে বলেছেন। গ্রামীণ এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্যদের মাধ্যমে অভিভাবকদের বলা হচ্ছে, তাঁরা যেন ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠান। হিঙ্গলগঞ্জের কনকনগর এসডি ইনস্টিটিউশনের মতো কয়েকটি স্কুল অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের টিফিনে মুড়ি, ছোলা ভাজা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy