শনিবার শিল্পী হাটে একের পর এক গানে মাতালেন নীপবীথি। —নিজস্ব চিত্র।
অতিমারি আবহে কমেছে রোজগার। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আর্থিক সঙ্কটে বহু হস্তশিল্পী। তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরিতে শিল্পী হাটে হাজির হলেন শিল্পী নীপবীথি ঘোষ। একের পর এক গানে মাতালেন শনিবারের সোনাঝুরি। সোনাঝুরির খোয়াইয়ের হাটের পাশেই বসে শিল্পী হাট। সেই হাট-কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে নীপবীথির এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন স্থানীয় শিল্পী, ব্যবসায়ী এবং পর্যটকেরাও।
শান্তিনিকেতনে শনিবারের খোয়াইয়ের হাট বরাবরই দূর-দূরান্তের পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট থাকে। তবে শনিবার ছাড়াও সপ্তাহের অন্যান্য দিনেও হাট বসে। এই হাটের পাশেই গড়ে উঠেছে শিল্পী হাট। এখানে পসরা সাজিয়ে বসেন স্থানীয় হস্তশিল্পী বা ব্যবসায়ীরা। এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘খোয়াই পাড়ের শিল্পী হাট একটু অন্য রকমের। কারণ নিজের হাতে গড়া শিল্পসামগ্রী নিয়ে যাঁরা পসরা সাজান, মূলত তাঁরাই এ হাটে গুরুত্ব পান। শনিবার হাট কর্তৃপক্ষের তরফে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।’’
শিল্পী হাটের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে নিজের ‘দায়িত্ব’ ভোলেননি নীপবীথি। জানিয়েছেন, আর্থিক ভাবে সঙ্কটে থাকা শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে এ অনুষ্ঠান নিয়ে নেটমাধ্যমেও প্রচার করবেন তিনি। নীপবীথির কথায়, ‘‘অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়ে আজ এখানে এসেছিলাম। এখানকার পরিবেশ খুবই ভাল লেগেছে। নেটমাধ্যমেও এই অনুষ্ঠান এবং হাটের গুরুত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা।’’
বস্তুত, করোনা সংক্রমণের জেরে দীর্ঘদিন ধরে হস্তশিল্পী-সহ লোকশিল্পীদের রোজগার তলানিতে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত শিল্পীমহলের একাংশ। খোয়াইয়ের হাটের বহু হস্তশিল্পীও আর্থিক অভাবে সঙ্কটে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার শিল্পী নীপবীথির অনুষ্ঠান মনোরঞ্জনের পাশাপাশি তাঁদের বিক্রিবাটাকেও উজ্জীবিত করবে বলে আশা। এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল নীপবীথিও। তিনি বলেন, ‘‘আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে এই হাট সম্পর্কে উৎসাহিত করাই আমাদের লক্ষ্য। কারণ করোনা আবহে প্রায় সমস্ত শিল্পীই সঙ্কটে পড়েছেন। আশা করি, তাঁরা ফের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy