শ্রীকান্ত মোহতা। ফাইল চিত্র।
ভুবনেশ্বরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে কাল, মঙ্গলবার শ্রীভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতার জামিন সংক্রান্ত মামলাটি আবার উঠতে পারে। শ্রীকান্ত এখন জেলে আছেন। শারীরিক অবস্থার কারণে তাঁকে জেল হাসপাতালে রাখার জন্য যে-আবেদন জানানো হয়েছিল, বিচারক তা খারিজ করে দিয়ে জেলের চিকিৎসকের রিপোর্ট চেয়েছেন।
গ্রেফতার করে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়ার পরেও সিবিআই শ্রীকান্তকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে সেখানকার আদালতে আবেদন জানাল না কেন, সেই প্রশ্ন তো আছেই। শ্রীকান্ত আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন বলেও জল্পনা চলছে। আইনজীবীদের একাংশের অনুমান, শ্রীকান্ত তদন্তে সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলেই এই ‘ব্যবস্থা’। তাঁদের মতে, শ্রীকান্ত ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও শ্রীকান্তের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার রবিবার ফোনে বলেন, ‘‘গোপন জবানবন্দির কোনও প্রশ্নই নেই।’’
সিবিআই সূত্রের খবর, ২৪ জানুয়ারি শ্রীকান্তকে গ্রেফতারের আগে প্রায় এক মাস ধরে তাঁর গতিবিধির উপরে নজর রাখা হচ্ছিল। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, শ্রীকান্ত তার আঁচ পেয়ে ঘনঘন গাড়ি বদলাতে শুরু করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে কসবার শপিং মলে শ্রীকান্তের অফিসে গিয়ে তাঁকে তুলে সিবিআইয়ের সল্টলেকের দফতরে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
গতিবিধির উপরে দীর্ঘদিনের নজরদারি, অফিসে হানা দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতারি ইত্যাদির পরেও সিবিআই শ্রীকান্তকে নিজেদের হেফাজতে নিল না কেন?
ওই প্রযোজকের ঘনিষ্ঠ আইনজীবীদের দাবি, সিবিআইয়ের হাতে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। অর্থ লগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালির সঙ্গে একটি দেওয়ানি মামলায় ওই সংস্থার মালিক গৌতম কুণ্ডুকে ৬.৮ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল শ্রীকান্তের। সেই নির্দেশ মাস তিনেক আগে পাওয়া গিয়েছে। তার বিরুদ্ধেও আদালতে আবেদন করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, কম সময়ে বহু গুণ টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যে-সব টাকা তোলা হয়েছিল, ওই ৬.৮ কোটিও তার অংশ। সেই টাকা দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি কিনেছিলেন শ্রীকান্ত।
আইনজীবীদের বক্তব্য, যে-বছর ছবি কেনা হয়, সেই বছর দু’টি বড় সংস্থার সঙ্গে ২৩৫ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল শ্রীকান্তের। ছবি কেনার ১৬ লক্ষ টাকা যে সেখান থেকে আসেনি, সেই ব্যাপারে কী ভাবে নিশ্চিত হচ্ছে সিবিআই, প্রশ্ন ওই আইনজীবীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy