ফাইল চিত্র।
পড়ুয়ারাই তো নেই, কিনবে কে? তাই মার খাচ্ছে শান্তিনিকেতনের ফার্স্টগেট, রতনপল্লি, ভুবনডাঙা, অরশ্রী বাজারের মতো ছোট, বড় দোকানদারদের রোজগার।
এই সমস্ত বাজারের বিক্রিবাটা বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের মুখাপেক্ষী। শীতের দুই থেকে তিন মাস বড় সংখ্যায় পর্যটক আসার ফলে তাঁদের বিক্রি এক ধাক্কায় বাড়লেও, সারা বছরের ব্যবসায় পড়ুয়ারাই বল ভরসা। গত প্রায় দু’বছর ধরে বন্ধ বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস। পড়ুয়াদের বড় অংশ ফিরে গিয়েছে বাড়িতে। ফলে বিক্রিতে ভাটা পড়েছে এই এলাকার ব্যবসায়ীদের।
১ ডিসেম্বর থেকে ক্যাম্পাস আংশিক হলেও খুলে যাওয়ায় আশার আলো দেখেছিলেন অনেকেই। বাড়ছিল বিক্রিবাটাও। কিন্তু, বিধি বাম। ক্যাম্পাস খোলার এক মাসের মধ্যেই আবারও অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল অফলাইন পড়াশোনা। রাজ্য তথা বোলপুর পুরসভার কড়াকড়ির কারণে পর্যটকদের আসাও থমকে গিয়েছে। মাথায় হাত এই অঞ্চলের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের।
অনেকে অন্যত্র দোকান খুলেছেন অথবা অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন। ভুবনডাঙার এক ছোট হোটেলের ব্যবসায়ী শরৎ মণ্ডল বলেন, “এমন পরিস্থিতি যে আসতে পারে কল্পনাও করিনি। প্রতিদিন গড়ে ১০০-১৫০ ছেলেমেয়ে দোকানে খাওয়া দাওয়া করত।” ক্যাম্পাস খুলেও আবার বন্ধ হওয়ায় ছবিটা আরও করুণ। বেশ কিছু দোকানদার নতুন উদ্যমে মালপত্র কিনেছিলেন। কেউ কেউ ঋণও করেছিলেন। এখন কী ভাবে শোধ করবেন, রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না। এমনই এক হোটেলের মালিক বলেন, “ক্যাম্পাস খোলার খবর আর পর্যটকদের ভিড় দেখে ধার নিয়ে নতুন করে দোকান সাজিয়েছিলাম। এখন দুটো রোজগারের পথই আবার বন্ধ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy