প্রতীকী ছবি।
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বামেদের হাতে থাকা ছাত্র সংসদের নেতৃত্ব ও অন্য পড়ুয়াদের উপরে হামলার বিরুদ্ধে সার্বিক প্রতিবাদের ডাক দিচ্ছে সব ছাত্র সংগঠন। সেই সময়েই অন্তর্দ্বন্দ্বে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই ইউনিটকে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। তার আগে শনিবার গণ-ইস্তফা দিয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএফআইয়ের ৩১ জন সদস্য। তাঁদের মধ্যে আছেন বিদায়ী ছাত্র সংসদের সভানেত্রী, কলা বিভাগের সোমাশ্রী চৌধুরীও। সংগঠনের অন্দরে পুরুষতন্ত্র, যৌন হেনস্থা, মহিলাদের স্বাধীন ভাবে কাজ করতে না দেওয়ার মতো বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। পদত্যাগের দীর্ঘ চিঠিতে লেনিন, বি আর অম্বেডকর থেকে প্রকাশ কারাটকেও টেনে আনা হয়েছে। তবে ভোটের মুখে বিড়ম্বনায় পড়লেও বিদ্রোহীদের সঙ্গে আর সেতু বাঁধা সম্ভব বলে মনে করছেন না এসএফআই নেতৃত্ব।
সোমাশ্রীদের অভিযোগ, নেতৃত্বের সঙ্গে সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলেও সমাধান মেলেনি। সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বের পাল্টা বক্তব্য, আলোচনার পথে থাকলে অভিযোগের তদন্ত ও নিষ্পত্তির জন্য নির্দিষ্ট সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় যাওয়া যেত। কিন্তু তার আগেই অভিযোগকারীরা সংগঠনের বাইরে চলে গেলেন অভিযোগ জানিয়ে এবং নেতৃত্বের কাছে পদত্যাগপত্র ঠিকমতো পৌঁছনোর আগেই ফেসবুকে সে সব ছড়িয়ে গেল। এর পরে আর আলোচনার পথ খোলা থাকে কী?
সংগঠনের অন্দর থেকেই ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য রবিবার বলেন, ‘‘আমরা কখনওই দাবি করিনি, আমাদের সংগঠন ১০০% নিখুঁত। কিন্তু অভিযুক্তদেরও তো কিছু বক্তব্য থাকতে পারে। ঠিক পথে আলোচনা চালালে সব বক্তব্য জেনে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত।’’ এসএফআই ছাত্র নেতৃত্বের আরও দাবি, দেশ জুড়ে বহু ছাত্রীই সংগঠনে সম্মানের সঙ্গে কাজ করছেন। যাদবপুরে যে অভিযোগ উঠেছে, তা ‘সার্বিক প্রবণতা’ নয়। পদত্যাগীদের বক্তব্য, তাঁরা বাম মতাদর্শ ছাড়ছেন না। আর এসএফআই নেতৃত্বের বক্তব্য, এই ধাক্কা সামলেই ছাত্র নির্বাচনে লড়াই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy