নিজস্ব চিত্র
স্থায়ী এবং ঠিকা কর্মীদের ঝামেলা। যার জেরেই কাজ বন্ধ বালিটিকুরি ই এস আই হাসপাতলে। সেখানে করোনা চিকিৎসাও হচ্ছে। কর্মীদের মধ্যে বচসার জেরেই শিকেয় উঠেছে ওই হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা।
গত কয়েকদিন ধরে ওই হাসপাতালের স্থায়ী এবং ঠিকা কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা চলছে। দু’পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে দায়ভার চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। স্থায়ী কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ঠিকা কর্মীরা হাসপাতালে মধ্যে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত। প্রতিবাদ করলে তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। হাসপাতালের স্থায়ী কর্মী ফারুখ আবদুল্লার দাবি, তাঁরা যথেষ্ট ভালো পরিষেবা দিয়ে আসছেন। ওদিকে অস্থায়ী কর্মী মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতালে কাজে আসছেন। টাকা চাইছেন রোগীর আত্মীয়দের থেকে। এরই প্রতিবাদে বুধবার ৩৭ জন স্থায়ী কর্মী হাসপাতালের কাজকর্ম বন্ধ করে দেন। ফলে রোগী ভর্তি করার কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকা কর্মীরা। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, হাসপাতালের কোনও কাজই করেন না স্থায়ী কর্মীরা। উল্টে তাঁরাই নানা ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত। হচ্ছে। অস্থায়ী কর্মী সঞ্জয় বিশ্বাস পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, তাঁরা ভালো পরিষেবা দিচ্ছেন বলে স্থায়ী কর্মীদের সহ্য হচ্ছে না। যে কারণে হাসপাতালের ১২০ জন নিরাপত্তাকর্মী ও সাফাই কর্মীও কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
উভয় পক্ষই সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন। যত ক্ষণ না সুবিচার পাবেন তত ক্ষন কাজ বন্ধ রাখা হবে বলে দু’পক্ষই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। এদিকে দু’পক্ষের এই ঝামেলার জেরে সমস্যায় পড়েছেন রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়রা। পরিষেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ তাঁরা। সুজন সাতরা নামে রোগীর এক আত্মীয় জানান, কোনও পরিষেবা নেই এখানে। মাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইছেন, তাও পারছেন না। হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘তিনি বিষয়টা জানেন না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন। পরিষেবা যাতে চালু হয়, তার ব্যবস্থা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy