মেট্রো আর তার যাত্রীদের সুরক্ষার দায়দায়িত্ব বেড়ে চলায় ‘মেট্রো রেল পুলিশ’ নামে একটি পৃথক বিভাগ তৈরি করতে চাইছে রাজ্য পুলিশও। ফাইল চিত্র।
পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ— চতুর্দিকেই কলকাতা পুলিশের সীমানা ছাড়িয়ে প্রসারিত হচ্ছে পাতালপথ। শহর কলকাতার চৌহদ্দি পেরিয়ে মেট্রোর দৌড় জেলাতেও। সঙ্গে সঙ্গে মেট্রো আর তার যাত্রীদের সুরক্ষার দায়দায়িত্ব বেড়ে চলায় কলকাতা পুলিশের পৃথক ‘মেট্রো রেল পুলিশ’-এর ধাঁচে আলাদা ‘মেট্রো রেল পুলিশ’ নামে একটি পৃথক বিভাগ তৈরি করতে চাইছে রাজ্য পুলিশও। জেলার মেট্রো স্টেশনগুলির নিরাপত্তার জন্য আলাদা বিভাগ গড়তে ইতিমধ্যে নবান্নে প্রস্তাবও পাঠিয়েছে তারা।
মহানগরীর উত্তরে পাতালপথ ইতিমধ্যে দক্ষিণেশ্বরে পৌঁছে গিয়েছে। চলতি বছরেই এসপ্লানেড থেকে মেট্রো পরিষেবা পশ্চিমে হাওড়া পর্যন্ত সম্প্রসারিত হওয়ার কথা। মেট্রো রেল বারাসত, ব্যারাকপুর এবং বিমানবন্দরে পৌঁছে যাবে অচিরেই। এই অবস্থায় মেট্রোর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই স্বতন্ত্র পাতাল-পুলিশ শাখা তৈরির পরিকল্পনা চলছে। এখন কলকাতা পুলিশ এলাকায় মেট্রো স্টেশন এবং সেখানকার যাত্রী নিরাপত্তা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আলাদা মেট্রো রেল পুলিশ রয়েছে। সব স্টেশনে যাত্রীদের ব্যাগ পরীক্ষা থেকে নজরদারির কাজ করে তারা। জেলার মেট্রো স্টেশনের নিরাপত্তার জন্য প্রস্তাবিত পৃথক পাতাল-পুলিশ শাখা একই কাজ করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, বর্তমানে কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর অর্থাৎ উত্তর-দক্ষিণে যে-মেট্রো পরিষেবা চালু আছে, সেই শাখার স্টেশনগুলির মধ্যে নোয়াপাড়া, বরাহনগর ও দক্ষিণেশ্বর বাদ দিয়ে সব স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল পুলিশ। ওই তিনটি স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্ব ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত স্থানীয় থানার হাতে ন্যস্ত। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সেক্টর ফাইভ থেকে সিটি সেন্টার পর্যন্ত মেট্রো স্টেশনের দেখভাল করে বিধাননগর কমিশনারেটের বিভিন্ন থানা।
রাজ্য রেল পুলিশের এক কর্তা জানান, আগামী দিনে মেট্রো চালু হবে হাওড়া, বারাসত, ব্যারাকপুরেও। সেই সব সম্প্রসারিত অংশে স্টেশনগুলির নিরাপত্তার জন্য পৃথক মেট্রো রেল পুলিশ তৈরি হলে যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি যেমন গুরুত্ব পাবে, তেমনই এক ছাদের তলায় পুরো বিষয়টি আনার ফলে বাড়বে সমন্বয়।
পুলিশি সূত্রের খবর, পৃথক মেট্রো রেল পুলিশ শাখা গড়া হলেও তা থাকবে স্থানীয় থানার অধীনেই। এ ছাড়া মেট্রো রেলের জন্য রেলের নিজস্ব বাহিনী আরপিএফ-ও থাকবে। তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করার কথা ওই মেট্রো রেল পুলিশের।
প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় মেট্রো রেল পুলিশের অধীনে নোয়াপাড়া থেকে বারাসত ‘ইয়েলো’ বা হলুদ লাইনের ১০টি মেট্রো স্টেশন, বরাহনগর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত ‘পিঙ্ক’ বা বেগুনি লাইনের ১১টি এবং নিউ গড়িয়া থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ‘অরেঞ্জ’ বা কমলা লাইনের ২৪টি মেট্রো স্টেশনের মধ্যে ১৪টি থাকার কথা। ওই সব লাইনের বাকি সব স্টেশনের দায়িত্বথাকবে কলকাতার মেট্রো রেল পুলিশের হাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy