—প্রতীকী ছবি।
রেশন-দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় (বালু) মল্লিককে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর দাবিতে বিজেপির বিক্ষোভে ধুন্ধুমার বাধল কলকাতায়। বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার ডাকে সেই বিক্ষোভ মিছিল থেকে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। একই দাবিতে এ দিন রাজ্যের একাধিক জেলায় অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
রেশন-দুর্নীতিতে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলে গত কয়েক দিন ধরেই সরব রাজ্য বিজেপি। সেই অভিযোগে ধৃত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে কলকাতা ও জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয় রাসবিহারী মোড়ে। বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা টালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে মিছিল করে হাজরা মোড়ের দিকে রওনা হন। কিন্তু রাসবিহারী মোড়ে পৌঁছলে মিছিল আটকায় পুলিশ, বচসায় জড়ান বিজেপির কর্মী- সমর্থকেরা। পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন তাঁরা। তখনই তাঁদের কয়েক জনকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়, রাতে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ মিছিলে লাঠি চালিয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরনার বারুইপুরেও বিজেপির মিছিলে লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বারুইপুরে বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলা দফতর থেকে মিছিল আসে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে পর্যন্ত। অভিযোগ, সেখানে পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। বিজেপি নেত্রী টুম্পা সর্দারের দাবি, ‘‘একাধিক কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে। মহিলা পুলিশ ছাড়াই মহিলাদের নিগ্রহ করা হয়েছে। বিরোধী দলকে আন্দোলন করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’ বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি অবশ্য জানান, মিছিল থেকে পুলিশের উপরে আক্রমণের চেষ্টা হলে বাধা দেয় পুলিশ। লাঠি চালানো হয়নি বলেই দাবি তাঁর। পুলিশের উপরে আক্রমণের চেষ্টার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। আসানসোলে এ দিন মিছিল করে ও পরে রাস্তায় বসে অবরোধ করেন বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
রেশনে দুর্নীতির প্রসঙ্গে সিপিএমকে দুষে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরোবে। সেই প্রসঙ্গে এ দিন খড়্গপুরে বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সিপিএমের যে লোকেরা দুর্নীতি করেছে, জেলে পাঠাবেন। একটা ছোটখাটো নেতাকেও কি উনি ধরতে পেরেছেন! এত দুর্নীতি বা খুন হয়েছে, কাউকে একটা চার্জশিট দিতে পেরেছেন বা গ্রেফতার করতে পেরেছেন! উল্টে ওঁর দলের লোকেরাই জেলে চলে যাচ্ছে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy