নবান্ন।
স্কুলে গরহাজির থেকে আন্দোলনে যোগ দেওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের শো-কজ করতে হবে। জেলায় জেলায় এমনই নির্দেশ এসেছিল গত মঙ্গলবার। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অবশ্য বদলে গেল সেই নির্দেশ। নতুন নির্দেশে জানানো হল, এখনই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা যেন না নেওয়া হয়।
দু’টি নির্দেশই পাঠিয়েছে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর। যদিও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে কিছু জানা নেই।’’ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) অমরকুমার শীল মানছেন, ‘‘শো-কজ না করার নির্দেশের কথা শুনেছি।’’ গত শুক্রবার থেকে সল্টলেকে উন্নয়ন ভবনের পাশে অনশন-অবস্থান করছেন ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (উস্তি)-র সদস্যরা। সংগঠনের সঙ্গে আলোচনাক্রমে যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন সংশোধন, অনৈতিকভাবে বদলি করা শিক্ষকদের বদলি প্রত্যাহার-সহ বেশ কয়েকটি দাবিতেই এই আন্দোলন। গত সোমবার শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দেন যে, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবিদাওয়া নিয়ে তিনি আলোচনায় বসবেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, ক্লাসে না গিয়ে শিক্ষকেরা আন্দোলনে যোগ দিলে তা বরদাস্ত করা হবে না।
মঙ্গলবার স্কুলশিক্ষা দফতর থেকে জেলায় জেলায় ওই শো-কজের নির্দেশ পাঠানো হয়। জেলাগুলি কী ব্যবস্থা নিল, তার বিশদ রিপোর্টও চাওয়া হয়। এই নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ধন্দে পড়েন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকেরাও। এক অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কথায়, ‘‘শো-কজ করতে হলে কারা স্কুলে গরহাজির থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলন করছেন তা চিহ্নিত করতে হত। কিন্তু কী ভাবে তা চিহ্নিত করা সম্ভব বুঝতে পারছিলাম না।’’ বুধবারই নতুন নির্দেশ আসে। উস্তি-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সহ-সম্পাদক সরোজ গোস্বামী বলেন, ‘‘রাজ্য বুঝেছে, শো-কজের নির্দেশ দেওয়া ঠিক হয়নি। এতে প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা আরও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাই নির্দেশ বদলেছে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy