Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Suvendu Adhikari

‘ভুয়ো’ জব কার্ডে দুর্নীতি রাজ্যে, অভিযোগ শুভেন্দুর

বিরোধী দলনেতার দাবি, কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে তাঁর ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বৈঠকে এই বিষয়ে তথ্য-পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:২৮
Share: Save:

একশো দিনের কাজে কেন্দ্রীয় সরকার পাওনা আটকে রেখেছে বলে সরব রাজ্য সরকার তথা শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। বিপুর পরিমাণ ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করে একশো দিনের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে বলে এ বার পাল্টা সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার দাবি, কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে তাঁর ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বৈঠকে এই বিষয়ে তথ্য-পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। আদালতে জনস্বার্থ মামলাও চলছে, এর পরে তাঁরা এই কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্ত চাইবেন। তৃণমূল অবশ্য একে বিজেপির ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ আখ্যা দিচ্ছে।

বিধানসভার বাইরে বুধবার বিরোধী দলনেতা বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের এক বিরাট নেতা প্রশ্ন তুলেছিলেন, একশো দিনের কাজে ৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, ওটা রাজ্যের দাবি। বাকিটা ঠিক নয়। সরকারি তথ্য থেকেই দেখা গিয়েছে, ভুয়ো জব কার্ড আছে প্রায় চার লক্ষ ৯ হাজার। তালিকায় নাম রেখেছে ১৮ বছরের কম বয়সীদের। অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদেরও আইএফএস নম্বরে টাকা পাঠানো হয়েছে। এক পরিবারে একাধিক কার্ড রয়েছে। সেই সব কারণে জব কার্ডের সঙ্গে আধার লিংক হচ্ছে না।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘জব কার্ডের সঙ্গে ১০০% আধার লিংক করে প্রকৃত প্রাপকদের টাকা দিতে হবে। গত ১০ বছরে ভুয়ো জব কার্ড দেখিয়ে যে ভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা তোলা হয়েছে, তার তদন্তে এ বার সিবিআই চাইব।’’

তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় পাল্টা বলেছেন, ‘‘বাংলা দখলে বাধা পেয়ে প্রতিহিংসার এই মনোভাব বিজেপির সর্বস্তরে কাজ করছে। প্রশাসনিক স্তরে আপত্তি থাকলে বিচ্যুতির জায়গাগুলি বাদ দিয়ে টাকা দিতে পারত। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সে কথা বলেছিলাম। সারা দেশেই কম-বেশি অনিয়ম রয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গে দু’টি অর্থবর্ষের টাকা আটকে রেখেছে।’’ রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার অবশ্য ইতিমধ্যেই বলেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মনোভাব ‘ইতিবাচক’ বলেই তাঁদের মনে হয়েছে।

বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ যাতে বাংলার গ্রামে-গঞ্জে প্রভাব না ফেলতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই কেলেঙ্কারি বা নয়ছয়ের অভিযোগ নিয়ে বিজেপির পাল্টা প্রচার চললেও ‘ন্যায্য বরাদ্দ’ বন্ধ করার রাস্তায় হাঁটতে চায় না কেন্দ্রীয় সরকার। শুভেন্দু-সুকান্তের সঙ্গে গিরিরাজের বৈঠকে সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে সূত্রের খবর। আবাস যোজনার প্রশ্নে এ দিন শুভেন্দুও বলেছেন, ‘‘জেলায় জেলায় বিক্ষোভ হচ্ছে। পরিস্থিতি রাজ্যের হাতের বাইরে যাচ্ছে। নবান্নের নির্দেশে জেলাশাসক মারফত তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে এখন টাকা জমা হতেই পারে। রাজ্যের হাতে সেই এক্তিয়ার আছে। কিন্তু আবাস যোজনার নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে কাজ করলে কী ভাবে টাকা ফেরত করাতে হয়, আমরাও জানি! আমরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশ্বাস নিয়ে এসেছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Suvendu Adhikari West Bengal Job Card
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy