নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এনকে সিংহের বেঞ্চ।
গত নভেম্বরে কলকাতা হাই কোর্টের তৃতীয় বেঞ্চের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী সিবিআই মামলায় জামিনের আবেদন খারিজ করার পরে শীর্ষ আদালতের কাছে জামিন চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন পার্থ। তারই প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তার আগে তাঁর নাকতলার বাড়িতে চলেছিল দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। একই সময়ে পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেও হানা দিয়েছিল ইডি।
তল্লাশিতে টালিগঞ্জের ‘ডায়মন্ড সিটি’ আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় প্রচুর বিদেশি মুদ্রা এবং সোনার গয়নাও। পরে অর্পিতার আরও একটি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল নগদ উদ্ধার হয়। মোট উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ছিল ৪৯ কোটি ৮০ লাখ। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ। ইডির পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইও অভিযোগ আনে। দুই মামলাই এখনও বিচারাধীন। ইতিমধ্যে একাধিক বার জামিনের আবেদনও করেছেন পার্থ। কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি।
আরও পড়ুন:
এর আগে সিবিআইয়ের মামলায় জামিন চেয়ে গত নভেম্বরে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ। সেই জামিনের বিরোধিতা করেছিল সিবিআই। পার্থের জামিনের আবেদন খারিজ করে তৃতীয় বেঞ্চের বিচারপতি চক্রবর্তী তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী জামিন নিয়ম আর জেল ব্যতিক্রম। তবুও বলতে হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ। অযোগ্যেরা শিক্ষক হয়ে স্কুলে গেলে সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রিক অবনতি হয়। একই সঙ্গে বিচারপতি চক্রবর্তীর মন্তব্য ছিল, “সততার সঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।’’