ছবি সংগৃহীত।
বিজেপির হাত থেকে ফের তৃণমূলের হাতে ফিরে যাওয়ার পরে পুজোর থিমও বদলে ফেলল সঙ্ঘশ্রী। ভবানীপুরের ওই ক্লাবের পুজোর থিম হচ্ছে ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’। এর আগে ওই পুজোর থিম ঠিক হয়েছিল, ‘কাটাকুটি খেলা’। ক্লাব তথা পুজো কমিটির সম্পাদক শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানান, বিজেপি যখন ক্লাবের কমিটিতে ঢুকেছিল, তখন ‘কাটাকুটি খেলা’ নামক থিমের পরিকল্পনা হয়েছিল। এখন সেটা বদলে ফেলা হয়েছে। রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের পর্যবেক্ষণ— লোকসভা ভোটে ১৮টি আসন জেতার পরে রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিতে প্রভাব বিস্তারের যে চেষ্টা বিজেপি শুরু করেছিল, তা ধাক্কা খেয়েছে। সঙ্ঘশ্রীর ঘটনাতেই তা স্পষ্ট হচ্ছে।
সঙ্ঘশ্রীর কমিটিতে বরাবরই ছিল তৃণমূলের আধিপত্য। কিছু দিন আগে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে ওই ক্লাবের পুজোর সভাপতি করা হয়। আহ্বায়কের পদ থেকে সরানো হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার পরে ক্লাব তথা পুজোর কমিটি ফের বদলে কার্তিকবাবুকে আগের দায়িত্বেই ফেরানো হয়। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হন শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের নতুন কমিটির সহ-সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, দু’জন সহ-সম্পাদক কৌশিক নাথ এবং শুভঙ্কর দাস। এর আগে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সকলের সঙ্গে আলোচনা না করে যে থিম ঠিক করেছিলেন, সেটা বদলানো হয়েছে।’’
সঙ্ঘশ্রীর এই মন বদলকে অবশ্য বিজেপির ‘ব্যর্থতা’ হিসাবে মানছেন না দলের নেতা সায়ন্তনবাবু। তিনি বলেন, ‘‘সঙ্ঘশ্রীর পুজোয় পদ্মফুলের উপরে দুর্গামূর্তির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেটা বাতিল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাই বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপিকে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। তবে রাজ্যের কোনও পুজো কমিটিতে আমাদের প্রভাব থাকছে না, এটা আশা করলে ওঁরা ভুল করবেন।’’ সায়ন্তনের দাবি, দক্ষিণ কলকাতার চারটি পুজো-সহ রাজ্যের ৫৪টি পুজোয় তিনি যুক্ত। এ ছাড়াও, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং অন্য নেতারা আরও অনেক পুজোর সঙ্গে আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy