সন্দীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
ফের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ সিবিআই দফতরে পৌঁছন তিনি। এই নিয়ে ১৪ দিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন সন্দীপ। গত ১৩ দিনে ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। গত রবিবার সকালে অবশ্য সিবিআই-ই পৌঁছে গিয়েছিল সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি ওই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বও পেয়েছে সিবিআই। দু’টি মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে। প্রথম মামলাটিতে প্রশাসক হিসাবে ঘটনার দায় বর্তেছে তাঁর উপর। দ্বিতীয় মামলায় সরাসরি অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সন্দীপের প্রাক্তন সহকর্মী তথা আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি আদালতে জানিয়েছেন সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, ভেন্ডার নির্বাচনে স্বজনপোষণ, নির্মাণে আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ ছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের কথা। সেই সূত্রেই তাঁকে জেরা করছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে জানা যায়, এই আর্থিক অনিয়মের মামলার তদন্তেই রবিবার সন্দীপের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটে ৯ অগস্ট। তার পর থেকেই আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের পদত্যাগ চেয়ে সরব হন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা। সন্দীপকে তার পরে সরিয়ে দেওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিক্যালে। কিন্তু সেই নিয়োগের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে সরব হন রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা। অবশেষে আদালতের নির্দেশে ন্যাশনাল মেডিক্যাল থেকেও সন্দীপকে সরিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়। এর পরে আদালত আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তভার দেয় সিবিআইয়ের হাতে। গত ১৬ অগস্ট থেকে তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। গত তেরো দিনের অভিজ্ঞতা বলছে, প্রতি দিন সকালেই সন্দীপ সিজিও কমপ্লেক্সে যাচ্ছেন এবং জেরা শেষে বাড়ি ফিরছেন রাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy