সাকেত গোখলে। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন সাকেত গোখলে। সোমবার সকালে তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভা নির্বাচনে তাঁদের ছ’জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, উপদলনেতা সুখেন্দুশেখর রায় ও দোলা সেনকে তৃতীয় বার মনোনয়ন দেওয়ার পাশাপাশিই নতুন তিন জনকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। নতুনদের তালিকায় নাম রয়েছে সাকেতের।
প্রার্থীদের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিধানসভায় মনোনয়নপত্র তৈরির কাজ শুরু করে দেন তৃণমূলের পরিষদীয় দলের সদস্যরা। সেখানেই সাকেতের জন্য উপনির্বাচনের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র তৈরি করা হয়েছে। বিধানসভা সূত্রে খবর, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে নির্দেশ পাওয়ার পরেই সাকেতের জন্য উপনির্বাচনের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। যদিও রবিবার ছুটির দিনেই তৃণমূল পরিষদীয় দল প্রার্থীদের জন্য মনোনয়নপত্র তৈরির প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছিল। সোমবার প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর সেই কাজে আরও গতি এসেছে।
প্রসঙ্গত, আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে সাকেতকে বেশ কয়েক বার গ্রেফতার করেছিল ইডি। যদিও সেই ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলেই বর্ণনা করেছিল তৃণমূল।
সাকেতের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে লুইজিনহো ফেলেইরোর ছেড়ে দেওয়া রাজ্যসভার আসনটি। রাজ্যসভার বাকি পাঁচটি আসনে সরাসরি নির্বাচন হলেও ওই আসনটিতে উপনির্বাচন হবে। কারণ, আসনটি ভাঙা মেয়াদের। পূর্ণ সময়ের নয়। ২০২০ সালে ওই আসনে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছিল নাট্যব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষকে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বালুরঘাট থেকে পরাজিত হন তিনি। তার পরে অর্পিতাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু ২০২১ সালে অর্পিতা রাজ্যসভার সাংসদ পদে ইস্তফা দেন। অসমর্থিত সূত্রের খবর, তাঁকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর পরে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগদান করেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো। ওই বছরের নভেম্বরে অর্পিতার ছেড়ে দেওয়া আসনটিতে লুইজিনহোকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেটিও ছিল উপনির্বাচন। সেই উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন লুইজিনহো।
কিন্তু গোয়া বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবির পর লুইজিনহোর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তৃণমূলের। এ বছর এপ্রিল মাসে লুইজিনহো রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সেই আসনেই এ বার প্রার্থী হবেন সাকেত। সেটিতে এ বার উপনির্বাচন হবে। এই আসনটির মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত।
২০২১ সালের অগস্টে দিল্লিতে সৌগত রায় ও যশবন্ত সিন্হার হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন সাকেত। তার পরেই তাঁকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্রের পদ দেওয়া হয়েছিল। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় তুলে ধরে ‘আরটিআই’ (তথ্য জানার আইন) করতে অভ্যস্ত সমাজকর্মী সাকেত সমাজমাধ্যমে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। সেই তথ্য জানার আইনেই ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ শব্দবন্ধের ব্যবহার নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। বিভিন্ন জনসভায় ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ শব্দবন্ধ একাধিক বার ব্যবহার করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সাকেত সেই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই ‘আরটিআই’ দাখিল করেছিলেন। তবে তার কোনও জবাব দেয়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অন্তত সাকেত নিজে তেমনই দাবি করেছেন। তাঁর করা ‘আরটিআই’ প্রশ্নের ভিত্তিতেই এমন বহু তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, যা পরবর্তী কালে জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy