সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা। ফাইল চিত্র।
নারদ স্টিং অপারেশন কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র মামলায় সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অন্যতম অভিযুক্ত, বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা। এ দিনই রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের কাছে সরাসরি সমন পাঠানোর জন্য সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই সমন রাজ্য বিধানসভার মাধ্যমে পাঠানোর জন্য আগে নির্দেশ দেওয়া হলেও তা আদালতে ফেরত চলে এসেছিল।
আদালত সূত্রের খবর, গত ১ সেপ্টেম্বর নারদ মামলায় ফিরহাদ, সুব্রত, মদন, প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় ও পুলিশকর্তা মির্জার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চার্জশিট (ইডি-র পরিভাষায় ‘কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট’) জমা দেয় ইডি। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে বিশেষ আদালত। আগামী ১৬ নভেম্বর আদালত হাজির হওয়ার জন্য ওই সমন জারি করা হয়েছিল।
পুলিশকর্তা মির্জা ও শোভনের সমন তাঁদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। ফিরহাদ, সুব্রত ও মদনের সমন বিধানসভার স্পিকারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু এই ধরনের সমন মন্ত্রী-বিধায়কদের কাছে পাঠানোটা বিধানসভার কাজের মধ্যে পড়ে না বলে জানিয়ে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পাল্টা তলব করেন সিবিআই ও ইডি-র তদন্তকারী অফিসারদের। কিন্তু তাঁরা হাজির হবেন না বলে দুই তদন্তকারী সংস্থার তরফেই চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সব সমন বিধানসভা থেকে আদালতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ বার সেগুলি সরাসরি মন্ত্রী ও বিধায়কের কাছে পাঠানোর জন্য তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মির্জার আইনজীবী এ দিন আদালতে বলেন, ‘‘আদালত আমার মক্কেলকে আগামী ১৬ নভেম্বর হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সেই সময়ের অনেক আগেই আত্মসমর্পণ করলেন। এবং তিনি তদন্তে সব রকম সহযোগিতাও করছেন। অতএব তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হোক।’’
জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র। তিনি বলেন, ‘‘এক জন পুলিশকর্তা হাত পেতে ঘুষের টাকা নিচ্ছেন। সারা ভারতের মানুষ তা দেখেছেন। তিনি একটি বৃহত্তর আর্থিক প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত। কোনও ভাবেই তাঁর জামিন মঞ্জুর হওয়া উচিত নয়। তিনি জামিন পেয়ে গেলে সমাজের প্রতি ভুল বার্তা পৌছবে।’’
দু'পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পরে বিশেষ আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায় ওই পুলিশ কর্তার শর্তাধীন অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন। ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ড ও আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে যাওয়া যাবে না, এই শর্তে মির্জার জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy