মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সদ্য রাজ্যের ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিরোধীদের গুঁড়িয়ে দিয়ে জয় পেয়েছে শাসক দল। এ বার বিধানসভার অধিবেশনে সরকারের সব দফতরের ‘ভাল-মন্দ’ নিয়ে আলোচনা চাইছে তারা। সরকারের সমালোচনায় বিরোধীরা যাতে প্রচারের আলো না পায়, তাই এমন কৌশল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ। বিরোধী দল বিজেপি অবশ্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রস্তাবের মোকাবিলার জন্য পাল্টা কৌশল সাজাচ্ছে।
রীতিমাফিক শোকপ্রস্তাবের মাধ্যমে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে সোমবার। সূত্রের খবর, এই অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে থাকা স্বাস্থ্য, সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং ভূমি দফতরের উপরে প্রশ্ন চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের প্রশ্ন-উত্তরের জন্য এত কাল দিন নির্দিষ্ট ছিল শুক্রবার। এ বার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এই দফতরগুলির প্রশ্নোত্তর ও আলোচনা বৃহস্পতিবার হবে বলে ঠিক হয়েছে। ‘সংবিধান দিবস’ উপলক্ষে বিধানসভায় আজ, মঙ্গলবার সংবিধান রক্ষা সংক্রান্ত শাসক পক্ষের আনা প্রস্তাবের উপরে আলোচনা শুরু হবে। সেই আলোচনা দু’দিন চলার কথা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাও।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করে এই অধিবেশনে প্রস্তাব বা বিল আনতে চায় সরকার পক্ষ। অধিবেশন চলাকালীনই আগামী ৩০ নভেম্বর রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে শাসক দলের তরফে সংখ্যালঘু সমাবেশ ডাকা হয়েছে ওয়াকফ নিয়ে কেন্দ্রীয় উদ্যোগের বিরোধিতায়। বিধানসভায় ওয়াকফ সংক্রান্ত প্রস্তাব এলে কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বিরোধী বিজেপির পরিষদীয় দলে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পরে বলেছেন, ‘‘ওয়াকফ বিল এখন যৌথ সংসদীয় কমিটির বিবেচনাধীন। সেই সময়ে বিজেপির তরফে আমরা কিছু বলতে চাই না। তোষণের রাজনীতি এবং ভোট-ব্যাঙ্কের স্বার্থে কলকাতায় ২৮ তারিখ সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীদের এবং ৩০ তারিখ তৃণমূলের সমাবেশ ডাকা হয়েছে। আইন মেনে চললে ভাল। বিধানসভায় প্রস্তাব আনলে আমরা জবাব দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy