ফাইল চিত্র।
বায়ুদূষণ রোধে জাতীয় নির্মল বায়ু প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রকল্প অনুযায়ী সব রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে নিজেদের রাজ্যের দূষিত নগরগুলিতে কী ভাবে বায়ুদূষণ রোধ করা হবে, তার ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ বা কর্মনির্দেশিকা ও প্রকল্প-পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ‘লাইফ’ নামে একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠন আরটিআই করে জেনেছে, ২৩টি রাজ্যের মধ্যে ১৭টিই এই ব্যাপারে এখনও কোনও রকম নির্দেশিকা বা প্রকল্প-পরিকল্পনাই তৈরি করে উঠতে পারেনি। ওই সংগঠনের সেই তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গও।
ওই সংগঠনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরটিআইয়ের জবাবে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানায়, তাদের ওয়েবসাইটে এই প্রকল্প-পরিকল্পনা দেওয়া আছে। কিন্তু পর্ষদের ওয়েবসাইটে পরিকল্পনা রয়েছে শুধু কলকাতা মহানগরের জন্য। রিপোর্ট প্রস্তুতকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বক্তব্য, কলকাতার জন্য তৈরি প্রকল্পকে কোনও ভাবেই রাজ্যের সার্বিক পরিকল্পনা বলা যায় না। কারণ, হলদিয়া, আসানসোলের মতো দূষিত নগরীও রয়েছে বাংলায়। সেগুলির ক্ষেত্রে পরিকল্পনা নেই।
রাজ্যের পরিবেশ দফতর সূত্রের দাবি, প্রাথমিক ভাবে কলকাতাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তবে রাজ্যের বাকি শহরগুলির জন্যও পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। যে-হেতু কলকাতা জনবহুল মহানগরী এবং দূষণের নিরিখে দেশের মধ্যে একাধিক বার শীর্ষে উঠেছে, তাই এই মহানগরকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ওই ১৭টি রাজ্যের মধ্যে বেশির ভাগই বড় শহরগুলির জন্য পরিকল্পনা তৈরি করেছে। সেই তালিকায় পঞ্জাব, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশে, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যও আছে। সংগঠনটি তাদের রিপোর্টে আরও জানিয়েছে, গুজরাতে শুধু সুরাত ও আমদাবাদের জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। তামিলনাড়ু ও ছত্তীসগঢ় কোনও প্রকল্প-পরিকল্পনাই তৈরি করেনি।
ওই সংগঠনের তরফে পরিবেশ-আইনজীবী ঋত্বিক দত্ত বলেন, “জাতীয় নির্মল বায়ু প্রকল্পে কী কী প্রয়োজন, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদগুলি তা জানত। কিন্তু সে-দিকে নজর দেওয়া হয়নি। দূষণের কবলে থাকলেও গ্রামীণ এলাকাগুলির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা দেখা যাচ্ছে না।” এ রাজ্যের পরিবেশ দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, গ্রামে বায়ুদূষণের হার তুলনায় কম। সে-ক্ষেত্রে তথ্যের অপ্রতুলতাও রয়েছে। তাই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে শহরগুলিতেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy