প্রতীকী ছবি।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের পিছনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে দাবি বিজেপির কিছু নেতাই করেছেন। শুধু সঙ্ঘই নয়, সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ একগুচ্ছ হিন্দু সংগঠন ময়দানে নেমেছিল বিজেপিকে জেতাতে। তাদের লাগাতার প্রচার, জনসংযোগের উপর ভর করেই পশ্চিমবঙ্গেও অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। দুই থেকে এক লাফে ১৮টি আসন জিতে বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূলকে কার্যত ‘সাময়িক’ কোণঠাসা করে দিয়েছিল বিজেপি। তার পরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। রাজ্যের শাসক দল পিকে-র উপরে ভরসা করে দলের খোলনলচে বদলে ফেলেছে বলে তৃণমূল অন্দরের খবর।
অপরদিকে, ১৮টি আসন পাওয়া বিজেপি মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই নিজেদের জেতা আসনগুলি হারিয়েছে। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে কেন বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল মানুষ? এ নিয়েই এখন চর্চা শুরু হয়েছে সঙ্ঘ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো সংগঠনগুলিতে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সঙ্ঘের উত্তরবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় এক প্রচারক বলেন, ‘‘আমরা উপ-নির্বাচনে কখনওই মাঠে নামি না। একমাত্র লোকসভা নির্বাচনেই সচেতনতামূলক প্রচারে নামি। যদিও সেখানেও আমরা কখনই সরাসরি বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলি না। এই উপনির্বাচনে বিজেপি কেন হেরেছে, তার কারণ একমাত্র বিজেপিই বলতে পারবে। এই নির্বাচনের ফল নিয়ে আমরা ভাবছি না।’’ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বরং এক ধাপ এগিয়ে মন্তব্য করছে, এনআরসির পাশাপাশি বিজেপির ‘বেড়ে চলা’ মুসলিম প্রীতিও হিন্দু ভোট হারানোর একটা কারণ। নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক সর্বভারতীয় নেতা বলেন, ‘‘সিএবি বিল হচ্ছে হিন্দুদের জন্য। আর এনআরসি হচ্ছে মুসলিমদের জন্য। এই কথাটা পরিষ্কার ভাবে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে।’’ পাশাপাশি, সঙ্ঘ ও বিশ্ব হিন্দু পারিষদের দাবি, এই উপনির্বাচনে বিজেপি যে ভোট পেয়েছে, সেটা তাদের ‘কমিটেড’ ভোট। তাদের দাবি, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই সিএবি বিল এনে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে আবার হারানো ভোট বিজেপিতে ফিরে আসবে। তাই এই হার তাদের কাছে ধাক্কা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy