ফাইল ছবি
এক সময় সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি ছিল মুর্শিদাবাদ। কিন্তু রাজ্যে পালাবাদলের পরে সংগঠন দুর্বল হতে থাকে। এখন তাঁদের এক জনও বিধায়ক, সাংসদ নেই। পুরভোটেও তাঁরা হাতে গোনা কিছু আসনে জয়ী হয়েছেন বামেরা। যে দলের এমন অবস্থা, তারা এ বার পুজোয় মুর্শিদাবাদে স্টল দিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকার বই বিক্রি করেছেন।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লার দাবি, ‘‘জেলা জুড়ে আমরা ১৭টি বুক স্টল দিয়েছিলাম। অধিকাংশ জায়গায় সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত বইয়ের স্টল থেকেছে। তাতে প্রায় ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকার বই বিক্রি হয়েছে। প্রতি দিনই প্রতিটি স্টলে ৫০০-৬০০ করে লোকজন এসেছেন।’’
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, ধুলিয়ান, নবগ্রাম, পাঁচগ্রাম, বহরমপুর, বেলডাঙা সহ জেলার ১৭টি জায়গায় ১৭টি বুক স্টল দিয়েছিল বামেরা। বহরমপুরের গোরাবাজার নিমতলা এলাকায় বুক স্টল দিয়েছিল এসএফআই-ডিওয়াইএফ। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক শাহনওয়াজ ইসলামের দাবি, ‘‘সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত নিমতলার ওই স্টল থেকে প্রায় ২১ হাজার টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া, বই না কিনলেও অনেকে আমাদের স্টল ঘুরে দেখেছেন। তাতে জনসংযোগও হয়েছে।’’ জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘‘অনেকেই কথা বলতে খুবই আগ্রহ দেখিয়েছেন।’’
তৃণমূলেরও দাবি, তাদেরও বই বিক্রি ভাল হয়েছে। বহরমপুর মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহরায় বলেন, ‘‘আমরা এ বারে গ্রামের দিকে বুক স্টল দিয়েছিলাম। কান্দি, লালবাগের মতো গ্রামীণ এলাকায় সে সব বুক স্টলে লোকজন এসে যেমন বই কিনেছেন, তেমনই জন সংযোগ হয়েছে।’’ বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘আমরা এ বার পুজোয় দলের জেলা অফিসের সামনে জলছত্র ও বইয়ের স্টল করেছিলাম।’’ তবে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘এই জেলায় পুজোয় কংগ্রেসের বুক স্টল করার চল নেই। আমরা সারা বছরই জনসংযোগ করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy