অন্ধকারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতর। —নিজস্ব চিত্র।
ভোটের গণনার দিনই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ল রাজ্য নির্বাচন কমিশন দফতর। সোমবার দুপুর ৩টে ১৮ মিনিট নাগাদ লোডশেডিং হয়। ফলে কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন জেলা থেকে গণনা সম্পর্কিত যে সব তথ্য আসছিল, তা থমকে যায়। অফিসার এবং কর্মীদের কম্পিউটারে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। মিনিট ১৫ এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিল কমিশন। কী কারণে আচমকা লোডশেডিং হল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে গুরুত্বপূর্ণ দিনে প্রায় ১৫ মিনিট কমিশনের কাজ থমকে যাওয়ায় কর্মীদের মধ্যেই চাপানউতর শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ৩টে ৩৬ মিনিট নাগাদ আবার স্বাভাবিক হয়েছে কাজকর্ম।
শনিবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ভোট ছিল। বেশ কয়েকটি বুথে অশান্তি হয়। প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। পরে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৬৯৬টি বুথে। কমিশন জানায় মঙ্গলবার মোট ৩৩৯টি কেন্দ্রে ভোটের গণনা চলছে। হাতেগোনা কয়েকটি বুথে গণনা শুরু হতে দেরি হয়েছে। গণনাকেন্দ্রে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে রাজ্য পুলিশের শতাধিক কর্মী। গণনাও শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে। পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন সকালে কমিশনের অফিস থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজীব। তিনি জানান, ভোটে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তি হয়েছে। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ এবং কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভোটের সময় অশান্তি কম হবে। বাহিনীর জন্য বাড়তি ভয় কাজ করবে। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করেছি। প্রথমে আদালত বলেছিল প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পরে সেই নির্দেশে সংশোধন করে বলা হয়, যে ক’টি বুথে সম্ভব বাহিনী দিতে হবে। আমার মনে হয় না ১০ হাজারের বেশি বুথে ওরা বাহিনী দিতে পেরেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy