Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal Panchayat Election 2023

১০ হাজারের বেশি বুথে বাহিনী ছিল না কেন্দ্রের জন্যই, পাল্টা দিলেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব

শনিবার ভোট মেটার পরেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ এনেছিল বিএসএফ। তাদের বক্তব্য ছিল, সংবেদনশীল বুথের তালিকা কমিশনের কাছে চেয়েও পাওয়া যায়নি।

Election Commissioner Rajiva Sinha on Central force deployment.

নির্বাচন কমিশনের অফিসে কমিশনার রাজীব সিংহ। নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ ১৫:১৩
Share: Save:

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের ১০ হাজারের বেশি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতেই পারেনি সরকার। বাহিনী না থাকায় পাল্টা কেন্দ্রকেই দুষলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। পাশাপাশি, স্পর্শকাতর বুথের তালিকা সংক্রান্ত বিএসএফের অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজীব। তিনি জানান, ভোটে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তি হয়েছে। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ এবং কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভোটের সময় অশান্তি কম হবে। বাহিনীর জন্য বাড়তি ভয় কাজ করবে। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করেছি। প্রথমে আদালত বলেছিল প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পরে সেই নির্দেশে সংশোধন করে বলা হয়, যে ক’টি বুথে সম্ভব বাহিনী দিতে হবে। আমার মনে হয় না ১০ হাজারের বেশি বুথে ওরা বাহিনী দিতে পেরেছে।’’

শনিবার ভোট মেটার পরেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ এনেছিল বিএসএফ। তাদের বক্তব্য ছিল, সংবেদনশীল বুথের তালিকা কমিশনের কাছে চেয়েও পাওয়া যায়নি। প্রথা মেনে বাহিনী মোতায়েনের আগে যে তথ্য দেওয়ার কথা ছিল কমিশনের, তা শেষ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। বিএসএফের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাজীব বলেন, ‘‘বিএসএফের পরিকল্পনায় স্পর্শকাতর বুথের কোনও গল্প ছিল না। জেলাভিত্তিক স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম শুধু স্পর্শকাতর কেন, ডিএম এবং এসপির সঙ্গে কথা বলে প্রতি বুথেই বাহিনী দেওয়া হবে। বিএসএফ যদি স্পর্শকাতর বুথের তালিকা না-ই পায়, তা হলে ওরা বুথগুলিতে বাহিনী দিল কী করে?’’

রাজীব জানান, কমিশন হিসাবে গোটা রাজ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে তারা দায়বদ্ধ। সেই অনুযায়ী সমস্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ভোটের দিন যা যা অশান্তির খবর কমিশনের কাছে এসেছিল, তার ভিত্তিতে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। নানা অভিযোগ, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ইত্যাদি খতিয়ে দেখে ভোটের পর ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুনর্নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। মঙ্গলবার মোট ৩৩৯টি কেন্দ্রে ভোটের গণনা চলছে। হাতেগোনা কয়েকটি বুথে গণনা শুরু হতে দেরি হয়েছে। গণনাকেন্দ্রে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে রাজ্য পুলিশের শতাধিক কর্মী। গণনাও শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে।

পাঁচ থেকে ছ’টি জেলায় গণনার দিন অশান্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনার। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনার মাধ্যমে রাজ্যের সামগ্রিক চিত্র তুলে না ধরার জন্য সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধও করেছেন তিনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE