প্রতীকী ছবি।
গড়ে প্রতি ঘণ্টায় এ দেশে পথ দুর্ঘটনায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৬-র গোটা দেশের হিসেব বলছে, গত বছরে ভারতে ৪ লক্ষ ৮০ হাজারের বেশি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার অর্থ, ঘণ্টায় গড়ে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৫৫টি। আর দুর্ঘটনা বেশি যে সব রাজ্যে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে।
দুর্ঘটনার হার ২০১৫-র তুলনায় ৪.১% কমলেও মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৩.২%। পথ দুর্ঘটনার রিপোর্ট প্রকাশ করে এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেই মানছেন কেন্দ্রীয় সড়ক-পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। কারণ বছরে দুর্ঘটনায় প্রায় ১,৫০,৭৮৫ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৬.৩ শতাংশেরই বয়স ১৮ থেকে ৩৫। আহতের সংখ্যা ৪,৯৪,৬২৪ জন। নিতিনের যুক্তি, ‘‘আমরা জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা কমানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু রাজ্য সড়ক ও জেলার রাস্তাগুলিতেও দুর্ঘটনা কমাতে হবে। রাজ্যগুলিকে বলেছি, দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকাগুলির সমস্যা দূর করতে কেন্দ্রীয় পরিবহণ তহবিলের ১০% খরচ করা হোক।’’
রিপোর্ট বলছে, ১৩টি রাজ্যেই ৮৬% দুর্ঘটনা ঘটছে। এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে। দশ লক্ষের বেশি জনসংখ্যার যে পাঁচটি শহরে দুর্ঘটনা সব থেকে বেশি, তার মধ্যে রয়েছে কলকাতা। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কথাই বলা হয়েছে। মদ খেয়ে, মোবাইলে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালানোর কথাও রয়েছে। বাইক বা স্কুটারে দুর্ঘটনার হার সব থেকে বেশি। গাড়ির ক্ষেত্রে পুরনো গাড়ির তুলনায় ৫ বছরের কম বয়সি গাড়িতে দুর্ঘটনার হার বেশি। রিপোর্টে
উঠে এসেছে দুর্ঘটনায় পড়া চালকদের মধ্যে অধিকাংশেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম শ্রেণির বেশি। সড়ক-পরিবহণ সচিব যুধবীর সিংহ মালিকের যুক্তি, ‘‘এ থেকেই স্পষ্ট, চালক হিসেবে কারও দক্ষতা শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর নির্ভর
করে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy