ইডি দফতর থেকে বেরোলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। —নিজস্ব চিত্র।
পাঁচ ঘণ্টা পর কলকাতায় ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বেরিয়ে অভিনেত্রী দাবি করলেন, ‘রেশন দুর্নীতি’র সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তবে তাঁর কাছে যা নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল, তা তিনি তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন।
রেশন দুর্নীতি মামলায় ঋতুপর্ণাকে তলব করেছিল ইডি। সেই মতো বুধবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে তদন্তকারী সংস্থার দফতরে যান অভিনেত্রী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী। এর প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর বিকেল ৫টা ৪৯ মিনিটে তিনি সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে আসেন। গাড়িতে ওঠার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘‘আমার সহযোগিতায় তদন্তকারীরা খুশি। এই দুর্নীতির সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। ওঁরাও (তদন্তকারীরা) সহযোগিতা করেছেন, আমিও সহযোগিতা করেছি।’’
ঋতুপর্ণার আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী বলেন, ‘‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে কিছু হয়নি। তলবের নথিতেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম ছিল না। সিনেমা প্রযোজনার জন্য কিছু লেনদেন হয়েছিল। সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়ে গিয়েছে।’’
রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্তের সঙ্গে ঋতুপর্ণার আর্থিক লেনদেনের তথ্য তদন্তকারীরা হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন এক ইডি আধিকারিক। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে সবিস্তার কিছু জানায়নি ইডি। ওই সূত্র মারফত আরও জানা যায়, ওই অভিযুক্তের সঙ্গে প্রায় কোটির অঙ্কে আর্থিক লেনদেন হয়েছে একটি সংস্থার, যার প্রোপ্রাইটর হিসাবে নাম রয়েছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার। সেই লেনদেন সম্পর্কে জানতেই ঋতুপর্ণাকে তলব করে ইডি। বুধবার অভিনেত্রীর আসার অনেক আগেই তাঁর হিসাবরক্ষক কাগজপত্র নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিজিওতে। তিনি জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রীর কাছে যে সমস্ত হিসাব চেয়েছিল ইডি, তা তিনি, অর্থাৎ হিসাবরক্ষকই দেখাশোনা করেন। তাই হিসাব বুঝিয়ে দিতে সুবিধা হবে বলে তিনি এসেছেন। তার পরেই ইডি দফতরে যান ঋতুপর্ণা।
এর আগে গত ৫ জুন রেশন দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনেত্রীকে ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল। যদিও সে দিন ঋতুপর্ণা সিজিওতে হাজিরা দেননি। সূত্র মারফত জানা যায়, বিদেশে থাকার কারণে ইডি দফতরে যেতে পারেননি অভিনেত্রী। এ কথা তিনি ইডি আধিকারিকদের ইমেল করে জানিয়েওছিলেন। ইডির তলব নিয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘রেশন দুর্নীতি কী, সে সম্পর্কে আমার কোনও সম্যক ধারণা নেই। আচমকাই এই খবর পেলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy