—নিজস্ব চিত্র
নিম্নচাপের জেরে বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টিতে ভাসল বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, বর্ধমান-সহ বেশ কয়েকটি জেলা। কোথাও জলস্তর বেড়ে গিয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদী, কোথাও কোমড় জলে ডুবে রয়েছে রাস্তাঘাট। কোথাও বাড়ি ভেঙে পড়েছে, আবার কোথাও রাস্তায় ধস নেমেছে। দেওয়াল চাপা পড়ে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটেছে।
প্রবল বৃষ্টিতে জলস্তর বেড়েছে বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী, দারকেশ্বর, শিলাবতী, কংসাবতী, আসানসোল শিল্পাঞ্চলের গাড়ুই ও নুনিয়া, হাড়োয়ার বিদ্যাধরী, পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাগীরথী, অজয়, দামোদর, খড়ি, কুনুর, বাঁকা নদীতে। হুগলির শহরাঞ্চলের ডানকুনি, উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর বৈদ্যবাটি, চন্দননগর, চুঁচুড়া পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড, হাওড়া পুর নিগমের শিবপুর, বালি, বেলুড়, বিগার্ডেন-সহ ৬৬টি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বর্ধমান শহরের প্রায় ১২টি ওয়ার্ড প্লাবিত। কোথায় হাঁটু জল, কোথাও কোমর জল। খড়ি নদীর জল বাড়ায় ভেসে গিয়েছে আউসগ্রাম এবং ভাতারের, গলসি, খণ্ডঘোষ, রায়নার ধানের জমি জলের তলায়। আরামবাগ বদনগঞ্জ, গোঘাটের সাতবেড়িয়াতেও ভেসে গিয়েছে বহু এলাকা।
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ডুবে গিয়েছে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের নদী তীরবর্তী এলাকাগুলি। আসানসোল পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন মা ও তাঁর দুই সন্তান। বাঁকুড়াতেও দেওয়াল চাপা পড়ে শুক্রবার সকালে বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের পাথরডোবা গ্রামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাওড়ার শিয়ালডাঙ্গা এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান হেমন্ত সিংহ নামে এক যুবক।
আসানসোলে দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে পুরসভার পাশাপাশি জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। হুগলির কালীপুরে ধসের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মদক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা জেলায় ইতিমধ্যেই নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সমস্ত ব্লক প্রশাসনকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy