নারকেলডাঙার অগ্নিকাণ্ডে এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর শচীন সিংহের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই ঘটনায় কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শচীনের জবাব পাঠানো হল মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে। রবিবারই তৃণমূলের কাউন্সিলর দলের মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে নিজের বক্তব্য জানিয়ে চিঠি পাঠান শচীন। সোমবার বাপ্পাদিত্য জানান, ওই চিঠি পর্যালোচনা করে নিজস্ব মতামতের একটি নোট-সহ তিনি সেটি মেয়রের কাছে পাঠিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, কাউন্সিলরের জবাবি চিঠির বিষয়ে উচ্চতর নেতৃত্বই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
বাপ্পাদিত্য জানান, গোটা বিষয়টি উচ্চতর নেতৃত্ব দেখছে। তাঁকে কেবল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে চিঠি পাঠিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য। তিনি সেই ভূমিকাই পালন করেছেন। তৃণমূলের কাউন্সিলর দলের মুখ্য সচেতক জানান, জবাবি চিঠিতে ‘কিছুটা’ ক্ষমাও চেয়েছেন শচীন। শচীনকে পাঠানো চিঠি, তাঁর জবাব এবং দু’টি মিলিয়ে নিজস্ব একটি নোট ফিরহাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বাপ্পাদিত্য। তৃণমূলের কাউন্সিলর দল সূত্রে খবর, শচীনকে শোকজ় করা হয়েছিল। যদিও কাউন্সিলরের দাবি, তাঁকে শোকজ় করা হয়নি। কেবল বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
সম্প্রতি নারকেলডাঙার একটি এলাকায় আগুন লেগে অন্তত ৬০টি ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক জনের। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষ স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁকে ঘিরে দীর্ঘ ক্ষণ বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এলাকা পরিদর্শনে গেলে তাঁর কাছেও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে নালিশ করেন অনেকে। শচীনের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের ওই ক্ষোভের ফলে অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল।
আরও পড়ুন:
পুরসভা সূত্রে খবর, নারকেলডাঙার অগ্নিকাণ্ড এবং শচীনকে ঘিরে এলাকার মানুষের অভিযোগে অসন্তুষ্ট খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরহাদকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন তিনি। তার পরেই গত বুধবার ওই কাউন্সিলরকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেন বাপ্পাদিত্য।