শিশির অধিকারী—ফাইল চিত্র।
সভাপতির পদে পরিবর্তন হয়নি। ফের শিশির অধিকারীকে জেলা সভাপতি রেখেই বাড়তি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কো-অর্ডিনেটর পদেও আছেন অধিকারী-ঘনিষ্ঠরা। তবু পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের যুব-সংগঠনে যে রদবদল হয়েছে, তাতে অধিকারীদের একচ্ছত্র ক্ষমতায় রাশ টানার ইঙ্গিত স্পষ্ট বলেই মনে করছেন রাজনীতির পর্যবেক্ষকেরা।
বৃহস্পতিবারের এই রদবদলে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ সংগ্রাম দলুইকে জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্টে যুব সংগঠনে গুরুত্ব বেড়েছে বিধায়ক অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশের। তাঁকে সরাসরি রাজ্য যুব সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, জেলার রাজনীতিতে অখিলের অবস্থান বরাবরই অধিকারীদের বিপরীতে। তা ছাড়া, তৃণমূলের পর্যবেক্ষক পদটি তুলে দেওয়ায় শুভেন্দুর ক্ষমতার বৃত্তও পূর্ব মেদিনীপুরেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রদবদলের পরে তৃণমূলের ৭ জনের স্টিয়ারিং কমিটির অন্যতম সদস্য হয়েছেন শুভেন্দু।
দলের নতুন জেলা কো-অর্ডিনেটর পদে আছেন বিধায়ক অখিল গিরি, অর্ধেন্দু মাইতি ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী। অখিল আগে জেলা কার্যকরী সভাপতি পদে ছিলেন। অর্ধেন্দু ও আনন্দময় দু’জনেই অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। অখিল রামনগর, এগরা, পটাশপুর ও চণ্ডীপুর বিধানসভার দায়িত্ব পেয়েছেন। ময়নার বিধায়ক সংগ্রাম দোলইকে সরিয়ে তৃণমূল যুব জেলা সভাপতি করা হয়েছে পার্থসারথি মাইতিকে। আর অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশকে যুব তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি পদ থেকে সংগঠনের রাজ্য সহ-সভাপতি পদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিকমহলের মতে, এই রদবলে পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের গুরুত্ব না কমানো হলেও একাধিক জেলার পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শুভেন্দুর ক্ষমতা খর্ব করা হল। আর অখিলকে জেলা কার্যকরী সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে তিন সদস্যের জেলা কো-অর্ডিনেটর পদে এনে কিছুটা গুরুত্ব কমালেও তাঁর ছেলে সুপ্রকাশ এখন অনেকটাই উজ্জ্বল। সুপ্রকাশ বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। নতুন দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি তৃণমূলের সৈনিক। আগেও দলের সংগঠন বাড়াতে কাজ করেছি। দল যে নতুন দ্বায়িত্ব দিয়েছে তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব।’’ অখিলের কথায়, ‘‘সুপ্রকাশ জেলার যুব সংগঠনের নেতৃত্ব হিসেবে ছিলেন। তাঁকে রাজ্যের যুব সংগঠনের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাতে রাজনৈতিকভাবে সাংগঠনিক কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে।’’ তবে শুভেন্দুকে দলের রাজ্য কোর কমিটিতে স্থান দেওয়া নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
পর্যবেক্ষক পদ তুলে দেওয়ায় শুভেন্দুর গুরুত্ব কি কমল? এর জবাবে জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘দলের নতুন সাংগঠনিক রূপ অনুযায়ী পর্যবেক্ষক পদ নেই। শুভেন্দুকে রাজ্য কোর কমিটিতে রাখা হয়েছে। এতে তাঁর গুরুত্ব বাড়ল না কমল তা আগামী দিনে বোঝা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy