Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Boroma Super Speciality Hospital

‘বড়মা’র পরিকাঠামোয় সন্তুষ্ট ‘হু’-র প্রতিনিধি

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ হু-র ওই প্রতিনিধি,  জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা আসেন বড়মা হাসপাতালে।

হু-র প্রতিনিধি। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

হু-র প্রতিনিধি। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

দিগন্ত মান্না
পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ০১:৫৩
Share: Save:

করোনা চিকিৎসায় রাজ্যে সফল জেলা হিসাবে দেশের মধ্যে নজর কেড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। চলতি মাসের শুরুতে জেলার পাঁশকুড়ার মেচগ্রাম মোড়ে বড়মা মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই ১৪ জন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জনকে সুস্থ করে তুলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নজরে এই হাসপাতাল। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সারভেইল্যান্স মেডিক্যাল অফিসার চিকিৎসক শুভদীপ ভুঁইয়া এসেছিলেন এই হাসপাতাল পরিদর্শনে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বড়মা হাসপাতালের করোনা চিকিৎসার পদ্ধতি ও পরিকাঠামো দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন হু-র প্রতিনিধি।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘বড়মা হাসপাতালে করোনা মুক্তির হার দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনধি চিকিৎসক শুভদীপ ভুঁইয়া। তিনি আমাদের লেভেল-৪ এর চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি আরও জোরদার করা পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা তাঁর পরামর্শ মতো লেভেল-৪ এর চিকিৎসার উপকরণ আরও বাড়ানোর কাজ শুরু করব।’’

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ হু-র ওই প্রতিনিধি, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা আসেন বড়মা হাসপাতালে। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার সার্বিক পরিকাঠামো ও ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন শুভদীপ। তারপর মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, বড়মা হাসপাতালের সুপার-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বড়মা হাসপাতালে বর্তমানে ৪ জন করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, চিকিৎসার পর ওই চারজন করোনা আক্রান্তের প্রথম ধাপের নমুনা পরীক্ষা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। বড়মা হাসপাতালে করোনা সংক্রমণের লেভেল ৩ ও লেভেল ৪-এর চিকিৎসার বন্দোবস্ত থাকলেও এখনও পর্যন্ত লেভেল-৪ এর একজনও রোগী ভর্তি হয়নি এখানে। অর্থাৎ করোনা সংক্রমণের পর বড়সড় শারীরিক অবনতি শুরু হওয়ার আগেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে রোগীদের। দ্রুত রোগ চিহ্নিতকরণের সঙ্গে সঙ্গে রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে এনে চিকিৎসা শুরু করার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের টিমকে ধন্যবাদ জানান হু-র প্রতিনিধি শুভদীপ।

এদিন তমলুক জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনে আসার কথা ছিল রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এস এ বাবা-র। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত। তবে এদিন তিনি কলকাতা থেকে রওনা হয়েও জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনে আসতে পারেননি। জেলা হাসপাতাল সুপার গোপাল দাস বলেন, ‘‘অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনে আসার সূচি ছিল। উনি কোলাঘাট পর্যন্ত এসে ছিলেন। কিন্তু জরুরি কাজের জন্য ফের কলকাতায় ফিরে যান বলে আমাদের জানানো হয়েছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy