Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Renu Khatun

খুনের চেষ্টার ধারা বাতিলে চিন্তায় রেণু

চার্জশিটে সরিফুল-সহ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, বধূ নির্যাতন, গুরুতর আঘাত, ষড়যন্ত্র-সহ কয়েকটি ধারা দেওয়া হয়েছিল। অন্যরা চার্জশিটের আগে জামিন পান।

রেণু খাতুন।

রেণু খাতুন। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান ও কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:০৭
Share: Save:

রেণু খাতুনের কব্জি কেটে নেওয়ার মামলায় মূল অভিযুক্ত ছাড়া বাকিরা ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন। সোমবার মামলায় খুনের চেষ্টার ধারা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর পরে যে সব ধারায় মামলা চলবে, তাতে মূল অভিযুক্ত রেণুর স্বামী সরিফুল শেখেরও জামিনের সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, নিজের ও বাপের বাড়ির লোকজনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত রেণু।

মঙ্গলবার রেণু খাতুন বলেন, ‘‘ওঁরা ছাড়া পাওয়ার পরে কী করবেন, সেটা ভেবে আমি আতঙ্কিত।’’ তাঁর আশঙ্কা, কেতুগ্রামে তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনও বিপদে পড়তে পারেন। এ দিন তিনি দাবি করেন, ‘‘আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়েছিল। পুলিশের তদন্তে গাফিলতি ছিল কি না, সেটাও ভাবাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।’’

পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন অবশ্য তদন্তে গাফিলতির কথা মানতে চাননি। পুলিশ জানায়, চার্জশিটে সরিফুল-সহ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, বধূ নির্যাতন, গুরুতর আঘাত, ষড়যন্ত্র-সহ কয়েকটি ধারা দেওয়া হয়েছিল। অন্যরা চার্জশিটের আগে জামিন পান। সোমবার খুনের চেষ্টার ধারা বাতিল করে কাটোয়ার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত মামলাটি এসিজেএম আদালতে পাঠিয়েছে। ২৯ অক্টোবর সেখানে শুনানি হবে।

আইনজীবীদের দাবি, আদালত নির্দেশে জানিয়েছে, অভিযোগকারিণীর পুলিশ ও বিচারকের কাছে দেওয়া জবানবন্দির মধ্যে ‘অসঙ্গতি’ রয়েছে। প্রথম ক্ষেত্রে তিনি দাবি করেন, অভিযুক্তেরা তাঁকে উপুড় করে ধরে এবং তাঁর স্বামী কব্জি কেটে দেন। কিন্তু ২২ জুন বিচারকের কাছে তিনি জানান, তাঁর মুখ চেপে ধরে হাত কাটা হয়। আইনজীবীদের দাবি, পুলিশের কাছে রেণু অভিযুক্তদের পরিচয় জানালেও, গোপন জবানবন্দিতে স্বামী ছাড়া বাকিদের নাম জানাতে পারেননি। চিকিৎসকের রিপোর্টে জানানো হয়, যে আঘাত করা হয়েছে, তা খুনের চেষ্টা বলা যায়। কিন্তু আঘাতের মাত্রা খুনের জন্য যথেষ্ট ছিল কি না, সে ব্যাপারে মতামত দেওয়া হয়নি।

অভিযুক্তদের আইনজীবী ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আদালতের পর্যবেক্ষণ, অভিযোগকারিণী ঘটনার সময়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। খুনের অভিসন্ধি থাকলে অভিযুক্তেরা তাঁর মাথায় বা অন্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে আঘাত করতে পারতেন। ঘটনার পরে তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যান তাঁর স্বামী।’’ সরকার পক্ষের আইনজীবী তাপস মুখোপাধ্যায় শুধু বলেন, “পুলিশ তদন্ত করে ঠিক ধারাতেই মামলা রুজু করেছে। বাকিটা বিচারক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Renu Khatun Crime Calcutta High Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy