ছবি: পিটিআই।
সপ্তাহ ঘুরতে চলল, এখনও খাইরুল, সালেদুল হকদের পরিবার জানে না, কী করে ছেলেদের জামিনের ব্যবস্থা করবে।
গত শনিবার উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে গ্রেফতার হন মালদহের ছয় যুবক। তাঁদের চার জনের বাড়ি ওই জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের ডাঙ্গিলায়, দু’জন জনমদোলের বাসিন্দা। উত্তরপ্রদেশে গিয়েছিলেন রুটিরুজির টানে। এখন বাড়ির লোকেদের প্রধান দুশ্চিন্তা, ছেলেদের জামিন হবে কী করে? এই নিয়ে শুক্রবার কয়েক জন গিয়েছিলেন চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাসের কাছে। পরে সজলবাবুও বলেন, ‘‘আজ কয়েক জন এসে উত্তরপ্রদেশে ধৃতদের সম্পর্কে একটা শংসাপত্র চাইছিলেন। কেউ ওঁদের বলেছেন— ওটা দেখালেই নাকি ওদের ছাড়ানো যাবে। কিন্তু সেটা করা যায় না। ওখানকার পুলিশ ধৃতদের নিয়ে রিপোর্ট চাইলে, আমরা তা দেব। ওদের উত্তরপ্রদেশে আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি।’’
প্রশ্ন উঠেছে, তাঁরা উত্তরপ্রদেশে আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন কী ভাবে? ধৃত খাইরুলের বাবা মহম্মদ হোদা এ দিন বলেন, ‘‘ওখানে বড় ছেলে খালেদুল রয়েছে। সে শুধু বলছে, আমরা দেখছি। এর বেশি আর কিছুই জানতে পারছি না। ওদের বিরুদ্ধে কী মামলা দিয়েছে তাও জানতে পারিনি।’’ আর এক ধৃত সানজুর আলির বাবা ইনারুল হকও বলেন, ‘‘ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে পারব কি না, জানি না!’’
আরও পড়ুন: ‘এ বার কি তা হলে দেশও ছাড়তে হবে?’
স্থানীয় লোকেদের বক্তব্য, ওঁরা চাইছেন, রাজনৈতিক কোনও দলের প্রতিনিধিরা যান ওঁদের কাছে। তা হলে নিজেরাও স্বস্তি পাবেন। আবার তাঁদের খুলে বলতে পারবেন নিজেদের আর্জি।
এলাকা দু’টি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মধ্যে হলেও চাঁচল বিধানসভার মধ্যে। চাঁচলের বিধায়ক, কংগ্রেসের আসিফ মেহবুব বলেন, ‘‘ওদের আশ্বস্ত করা ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হবে না। তবু রবিবার পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করব।’’ হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। দু-এক দিনের মধ্যেই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করব।’’ তৃণমূল নেত্রী তথা জেলা পরিষদের শিশু, নারী কর্মাধ্যক্ষ মার্জিনা খাতুনও বলেন, ‘‘কিছু কর্মসূচি থাকায় যেতে পারিনি। শীঘ্রই গিয়ে পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy