লোকসভায় স্পিকার ওম বিড়লা। ছবি: সংগৃহীত।
নরেন্দ্র মোদী সরকার শর্ত দিয়েছিল গত সপ্তাহে। তা মেনেই সোমবার, বাদল অধিবেশনের দ্বাদশ দিনে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা শুরু হল লোকসভায়। আলোচনা শুরুর আগে স্পিকার ওম বিড়লা সেই শর্ত মনে করিয়ে দিলেন বিরোধীদের— কোনও অবস্থাতেই ওয়েলে নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখানো যাবে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গয়াল সোমবার বলেছেন, ‘‘মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যসভায় মঙ্গলবার আলোচনা হবে।’’
অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে গত ২৫ জুলাই কংগ্রেসের চার সাংসদকে পুরো বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেছিলেন স্পিকার। সেই চার কংগ্রেস সাংসদ— তামিলনাড়ুর মনিকম টেগোর (বিরুধনগর) ও জ্যোতিমণি সেন্নিমালাই এবং কেরলের টিএন প্রতাপন (ত্রিশূর) ও রম্য হরিদাসের (কোঝিকোড়) উপর থেকে সোমবার সাসপেনশন প্রত্যাহার করেছেন স্পিকার। প্রসঙ্গত, আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত সংসদের চলতি বাদল অধিবেশন চলবে।
এ বার বাদল অধিবেশনের গোড়া থেকেই বার বার সরকার ও বিরোধীপক্ষের সঙ্ঘাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন। বিরোধীদের অভিযোগ, জিনিসপত্রের চড়া দাম, মূল্যস্ফীতির হার, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বর্ধিত জিএসটির মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হলে সরকারের মুখ পুড়তে পারে, তাই আলোচনা এড়াতেই ফি দিনের অধিবেশন বানচালের কৌশল নিয়েছে শাসক শিবির। আলোচনা এড়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হলেই বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করে ঝামেলা জিইয়ে রাখার কৌশল নিয়েছে সরকার।
বাদল অধিবেশনে এ পর্যন্ত সংসদের দুই কক্ষের ২৪ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার মধ্যে রাজ্যসভার ২০ জন। প্রতিবাদে সংসদ ভবন চত্বরে গাঁধীমূর্তির পাদদেশের ৫০ ঘণ্টা অবস্থান-বিক্ষোভও করেছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানান, বিরোধীরা যদি ওয়েলে নেমে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ না দেখান, তবে সরকার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় রাজি। তবে সোমবারও শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউথের গ্রেফতারি নিয়ে বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন রাজ্যসভায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy