—প্রতীকী ছবি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে মঙ্গলবার আলিপুর কোর্টে তিরস্কৃত হল সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বিচারকের পর্যবেক্ষণ, তদন্তকারী অফিসার আদালতকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয় পক্ষপাতমূলক তদন্ত হচ্ছে বলেও মনে করেছেন বিচারক। তাঁর পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, সিবিআই দু-এক জনকে জলে ফেলে রাখছে এবং বাকিদের নৌকায় তুলে রাখছে। প্রসঙ্গত, এ দিনই তদন্তের গতিতে ঢিলেমির জন্য কলকাতা হাই কোর্টেও তিরস্কৃত হয়েছে আরেক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
এ দিন আলিপুর কোর্টে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির মামলায় ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিংহ এবং আবদুল খালেকের জামিনের শুনানি ছিল। সেখানে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেন সিবিআইয়ের কৌঁসুলি। তার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘এই মামলায় শান্তিপ্রসাদ-সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সিবিআই শান্তিপ্রসাদ সিংহ-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু অভিযুক্ত হিসেবে একাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। রিপোর্ট পড়ার পরে বিচারক সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, "তদন্তকারী অফিসার আদালতকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছেন। একই অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তা স্পষ্ট করা হয়নি।’’
সিবিআইয়ের আইনজীবী অবশ্য বলেন, "অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী তদন্ত ও পদক্ষেপ করা হয়েছে।" সে কথা শুনে বিচারক আরও ক্ষুব্ধ হন। তিনি বলেন, "আপনি তর্ক করবেন না। আপনারা দুই একজনকে জলে ফেলে রাখবেন। আর বাকিদের নৌকায় তুলে রাখবেন। তা হতে পারে না। এই ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক তদন্তের গতিপ্রকৃতি স্পষ্ট হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। আমি শুধু মুখে বলছি না আমার লিখিত নির্দেশেও সব বিষয়ে উল্লেখ করব।"
সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে কড়া কথা শোনালেও শান্তিপ্রসাদ এবং আব্দুল খালেকের জামিনের আর্জি অবশ্য এ দিন মঞ্জুর হয়নি। তাঁদের দু’জনকেই ফের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy