Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

মশা মারার ধোঁয়া বন্ধ করো, বাবাকে বলে দিলেন রত্না

তিনি জানিয়েছেন, বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ শুনতে তাঁদের পাশে থাকবেন।

রত্না চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

রত্না চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

এক দিন আগে পর্যন্তও তাঁর পরিচিতি ছিল ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর হিসেবে। এখন তিনি বিজেপিতে। তিনি, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় স্বভাবতই ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে আঁচ করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, ওই ওয়ার্ডটি দেখবেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার থেকেই সেখানে ডেঙ্গি দমনকে পাখির চোখ করে এগোনোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন রত্নাদেবী। তিনি জানিয়েছেন, বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ শুনতে তাঁদের পাশে থাকবেন।

এ দিন রত্নাদেবী বলেন, ‘‘বাবাকে বলেছি, তোমার এলাকার মশা আমার এলাকায় ঢুকে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ধোঁয়া দিয়ে মশা মারা যায় না। তুমি ধোঁয়া দেওয়া বন্ধ কর। বাবা কথা দিয়েছেন, ধোঁয়া দেওয়া বন্ধ করতে হলে কী করা দরকার, তা নিয়ে কলকাতা পুরসভার পরামর্শ নেবেন।’’

সম্প্রতি ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ডেঙ্গির উপদ্রব বাড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল স্থানীয়দের মধ্যে। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান, ১৫-২০ দিন আগে ওই এলাকায় রোজ অন্তত পাঁচ-ছ’জন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, ওই ওয়ার্ড লাগোয়া মহেশতলা পুরসভায় ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশা মারার জন্য ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছিল। তাতেই জেরবার এডিস ইজিপ্টাইয়ের দল ১৩১ নম্বরে ঢুকে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়িয়েছে বলে জানায় পুর স্বাস্থ্য দফতর। ঘটনাচক্রে, মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলালচন্দ্র দাস আবার শোভনবাবুর শ্বশুর। স্বভাবতই পুর মহলে গুঞ্জন ওঠে, শ্বশুরের এলাকার মশা জামাইয়ের ওয়ার্ডে ঢুকে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে!

রত্নাদেবী জানিয়েছেন, ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের উপেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি রোড-সহ যে কয়েকটি এলাকায় ডেঙ্গি ছড়িয়েছে, সেই এলাকাগুলি তিনি ঘুরেছেন। ইতিমধ্যেই পুরসভার ১৪টি দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে জমা জলে মশার লার্ভা মারা শুরু করেছে। রত্নাদেবী আরও বলেন, ‘‘দু’-এক দিনের মধ্যে আমি ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে কথা বলব। কী করণীয় তা জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’

পাশের ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্চিতা মিত্রও তাঁর এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘গত বছর আমার ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে তিনশো জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছিল। এ বার তাই ভয় হচ্ছে। পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকদের বলেছি, জ্বরে আক্রান্ত রোগী এলেই জানান। সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে সচেতনতা বাড়ানো দরকার।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy