সরকারি বাড়ি আর রাস্তার রেলিং তাঁর পছন্দের রঙে রেঙে উঠেছে। এ বার রেশন কার্ডের জন্যও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের রং নীল আর সাদা।
রাজ্যে তিন রকমের রেশন কার্ড রয়েছে। এপিএল (দারিদ্রসীমার উপরে), বিপিএল (দারিদ্রসীমার নীচে) এবং অন্ত্যোদয় যোজনার আওতায় থাকা পরিবারের জন্য। এখনকার এপিএল রেশন কার্ডের রং সাদা, বিপিএলের গোলাপি আর অন্ত্যোদয়ের জন্য সবুজ রেশন কার্ড।
ইংরেজি নতুন বছরেই রং-বদল ঘটছে রেশন কার্ডের। তিন শ্রেণির গ্রাহক পরিবারের জন্য হচ্ছে তিন ধরনের ডিজিটাল রেশন কার্ড। একটি পুরো সাদা, একটি পুরো নীল এবং তৃতীয়টি নীল-সাদা। কেন? খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জবাব, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ডিজিটাল রেশন কার্ডের রং ঠিক করে দিয়েছেন।” খাদ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ জানান, রাজ্যে রেশন কার্ড রয়েছে ন’কোটি ২০ লক্ষ। তার মধ্যে বিপিএল রেশন কার্ডধারীর সংখ্যা কমপক্ষে ছ’কোটি। তাই বিপিএল রেশন কার্ডের রং নীল-সাদা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন খাদ্যকর্তাদের একাংশ। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের রং সহজেই পৌঁছে যাবে বেশির ভাগ পরিবারের কাছে।
মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের রং বলে নীল-সাদার এখন খুবই মাহাত্ম্য। অনেক সরকারি ভবনে ওই রং লাগানো হয়েছে। রাস্তার রেলিং, ডিভাইডারও ওই রঙেই রাঙানো। এখন সরকারি অনুষ্ঠানের বেশির ভাগ আমন্ত্রণপত্রও ছাপা হয় নীল-সাদায়। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অতিথিদের কার্ডও নীল-সাদা। কলকাতা পুরসভা মাসিক অধিবেশনে যে-খাবারের প্যাকেট দেয়, তাতেও এখন নীল-সাদার দাপট।
এই বিশেষ রং-প্রীতিকে চোখের দেখায় আটকে না-রেখে একে লাভের অঙ্কের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। পুরসভা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে, বাড়িতে নীল-সাদা রং করলে এক বছর পুরকর দিতে হবে না। বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই এই মর্মে বিল আসছে বলে জানান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy