রানিগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচির আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সোমবার। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ
রানিগঞ্জের রাজবাড়ি মাঠে আজ, মঙ্গলবার সরকারি পরিষেবা প্রদান ও জনসভা উপলক্ষে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে ওই কর্মসূচির জন্য জেলার অধিকাংশ রুটের বাস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে বাস মালিক সংগঠনগুলির সূত্রে জানা যায়। এই পরিস্থিতিতে পথে নেমে যাত্রী-দুর্ভোগের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে জনসাধারণের একাংশ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জমায়েত হবে ধরে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আসানসোল পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঠের এক দিকে মহিলাদের জন্য ১২টি অস্থায়ী শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। মাঠের চার দিকে জলের ট্যাঙ্কার থাকছে। ধুলো ওড়া রুখতে মাঠে সকাল থেকে জল ছেটাবে পুরসভা। জন-সমাগম প্রসঙ্গে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাবি করেছেন, ‘‘ঐতিহাসিক জমায়েত হবে মঙ্গলবার।’’
কিন্তু করোনা-আবহে এমন জমায়েত নিয়ে কী-কী ব্যবস্থা রাখছে জেলা প্রশাসন? জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ এড়াতে মাঠে ঢোকার মুখে তাপমাত্রা মাপা হবে। ‘মাস্ক’, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিলি করা হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর স্বাস্থ্য শিবির খুলবে।’’ পাশাপাশি, নিরাপত্তার জন্য প্রায় ১,৫০০ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন, জানা গিয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে। থাকছে পুলিশের দু’টি কন্ট্রোল রুমও।
এ দিকে, প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচিতে উপভোক্তাদের সভাস্থলে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছে প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন দফতরের উপরে। জেলা পরিবহণ আধিকারিক পুলকরঞ্জন দাসমুন্সি বলেন, ‘‘আমরা প্রায় ১৭৫টি বাস নিচ্ছি। এর মধ্যে বেশির ভাগই দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস।’’ জেলা শ্রম কমিশনারের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় রুটের ৭০টি মিনিবাস নেওয়া হয়েছে। মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের তরফে অনেকে ব্যক্তিগত ভাবেও বাস ভাড়া করেছেন।’’ আসানসোল বাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিবহণ দফতরের চাহিদা মতো কিছু বাস আমরা দিচ্ছি। কিছু বাস ব্যক্তিগত উদ্যোগেও নেওয়া হচ্ছে।’’ তৃণমূল অনুমোদিত ‘আসানসোল মোটর ট্র্যান্সপোর্ট ইউনিয়ন’-এর সম্পাদক রাজু অহলুওয়ালিয়া জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় কমপক্ষে ৫৫০টি রুটের বড়বাস ও মিনিবাস যাবে।
এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল, জেলায় পথে নেমে ব্যাপক ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন জনসাধারণের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy