বীরভূম জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে সর্বত্র তল্লাশি চলছে। সেই মতো হয়তো তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে, ঠিক কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’
ফাইল চিত্র।
এক খুনের পরে ন’জনের খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা কাঠগড়ায়। তার মধ্যেই ফের পুলিশি ‘অতি সক্রিয়তার’ অভিযোগ উঠল রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে।
বগটুই গ্রামের সোনা শেখের যে বাড়ি থেকে সাতটি দেহ উদ্ধার হয়েছিল, তার প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এলাকায় রবিবার রাতে পুলিশ হানা দেয় বলে অভিযোগ। আট-দশটি বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায় বলে দাবি ওই পাড়ার বাসিন্দাদের। পুলিশ বা সিবিআই, সকলকেই স্বাগত জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু, তাঁদের বক্তব্য, রবিবার রাতে পুলিশ বাহিনী যে ভাবে ‘অতি সক্রিয়তা’ দেখিয়ে একের পর এক বাড়িতে দরজা ধাক্কা দিয়ে হুড়মুড় করে ঢোকার চেষ্টা করেছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, “২১ তারিখ রাতে যদি পুলিশের এমন সক্রিয়তা থাকত, তা হলে কি এত ভয়াবহ ঘটনা ঘটত?”
বগটুই পূর্বপাড়ায় রয়েছে আট-দশ ঘরের ওই ছোট্ট এলাকা। রবিবার রাতে প্রথম যে বাড়িতে পুলিশ গিয়েছিল বলে অভিযোগ, তার গৃহকর্ত্রী, বছর পঞ্চান্নর প্রৌঢ়ার দাবি, পুলিশ জানিয়েছিল, এক অভিযুক্ত ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে বলে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন মিলেছে। এ দিন এলাকার পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে ওই প্রৌঢ়া বলেন, “অভিযুক্তকে খুঁজতে আসতেই পারে। কিন্তু তা বলে এমন ভাবে দরজা ধাক্কা দিলে, হুড়মুড় করে সব ঘরে, ছাদে উঠে পড়লে তো ভয় হবেই। আমার স্বামী অসুস্থ, তিনি ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন।”
ওই এলাকার প্রায় সব বাড়ির পুরুষেরাই রাজমিস্ত্রির কাজের সূত্রে দিল্লি, মুম্বইতে থাকেন। অন্য যে পুরুষেরা গ্রামে থাকতেন তাঁরাও ঘটনার পর থেকে ঘর ছাড়া। ফলে সন্তানদের নিয়ে একাই থাকছেন মহিলারা। এক বধূর অভিযোগ, দরজা খোলার জন্য চাবি নেওয়ারও সময় দিচ্ছিল না পুলিশের দল। বলেন, “ভিতরে ঢুকেই আমার স্বামীকে দেখিয়ে জানতে চায় সেটা কে? স্বামী বলাতেও বিশ্বাস করেনি।” গ্রামবাসীদের আরও দাবি, ধূসর ও খাকি রঙের পোশাক পরা পুলিশের কর্মীরা এসেছিলেন। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে সব বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চলে গিয়েছেন।
বীরভূম জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে সর্বত্র তল্লাশি চলছে। সেই মতো হয়তো তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে, ঠিক কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy