মঞ্চে: মঙ্গলবার দুপুরে গরুমারা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
কালিয়াগঞ্জে তাঁকে ভাঙা ভাঙা রাজবংশী ভাষায় ভাষণ দিতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ফালাকাটায় এ বার গড়গড় করে রাজবংশীতে কথা বলতে চান তিনি। ভোটারদের মন জয় করতে এখন থেকেই আরও ভাল করে রাজবংশী শিখতে শুরু করে দিলেন ফালাকাটা উপ নির্বাচনে তৃণমূলের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটারদের কাছে গিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের কী বলতে হবে, সে ব্যাপারেও বোঝাতে শুরু করে দিয়েছেন রাজীব।
২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদল হলেও এ বারের উপ নির্বাচনের আগে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে কখনও জয়ের স্বাদ পায়নি তৃণমূল। বরং গত লোকসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জে প্রায় ৫৭ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। যার জেরে কালিয়াগঞ্জ উপ নির্বাচন জিততে একাধিক নেতাকে ময়দানে নামিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্ব। যাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষ পর্যন্ত কালিয়াগঞ্জের উপ নির্বাচনে প্রায় আড়াই হাজার ভোটে জয়ী হন রাজ্যের শাসক দলের প্রার্থী। তৃণমূল সূত্রে খবর, কালিয়াগঞ্জের সেই সাফল্যকে সামনে রেখেই ফালাকাটায় বিধানসভার উপ নির্বাচনেও রাজীবকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল। আর কালিয়াগঞ্জকে মডেল করেই তিনি যে ফালাকাটায় হারানো জমি পুনরুদ্ধারে মরিয়া তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের এই মন্ত্রী।
তৃণমূল সূত্রে খবর, গত লোকসভা নির্বাচনের সময় ফালাকাটার প্রয়াত বিধায়ক অনিল অধিকারী বেশ অসুস্থ ছিলেন। ফলে সেই সময়েও রাজবীকে ফালাকাটায় দলের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও ওই নির্বাচনে ফালাকাটায় তৃণমূলকে বিজেপির থেকে প্রায় ২৭ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকতে হয়েছিল। তৃণমূল নেতাদের একাংশ জানাচ্ছেন, সেই সময় রাজীবের হাতে সময় কম ছিল। কিন্তু এ বার তাঁর হাতে অনেক সময় রয়েছে। ফলে নিজের মতো করে পরিকল্পনা করে নির্বাচন ভাল করে পরিচালনা করতে পারবেন তিনি।
সেই পরিকল্পনা ইতিমধ্যে রাজীব ছকেও ফেলেছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। তিনি রাজবংশী ভাষাতেও সড়গড় হতে চাইছেন। রাজীব বলছেন, ‘‘কালিয়াগঞ্জে একটু ভাঙা ভাঙা রাজবংশী ভাষায় ভাষণ দিয়েছিলাম। কিন্তু ফালাকাটায় নির্বাচনী প্রচার শুরু করার আগে রাজবংশী ভাষায় আরও একটু সড়গড় হতে চাই।’’ একই সঙ্গে এই নির্বাচনে দলের প্রচার কী হবে সে বিষয়েও ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ারের জেলা নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনা সেরে ফেলেছেন রাজীব।
রাজীবের সংযোজন, ‘‘কালিয়াগঞ্জের মতোই ফালাকাটাতেও বড় সভা নয়, বরং পাড়া বৈঠকে আমরা বেশি জোর দিতে চাইছি। সেই সঙ্গে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। মানুষের বক্তব্য শুনতে হবে। কোথাও কোনও ভুল করে থাকলে নেতাদের ক্ষমা চাইতে হবে। সেইসঙ্গে উপ নির্বাচনে ভোটটা ঋণ হিসাবে সকলের কাছে চাইতে হবে। আগামী ১৪ মাসে কাজের মধ্যে দিয়ে যা মানুষকে মিটিয়ে দেব আমরা। তাতে ব্যর্থ হলে পরের নির্বাচনে মানুষ পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, ঠিক এই পদ্ধতিতেই কালিয়াগঞ্জে উপ নির্বাচন পরিচালনা করেছিলেন রাজীব। কিন্তু তাতে করে কি ফালাকাটায় ২৭ হাজার ভোটের ব্যবধান মিটিয়ে উপ নির্বাচন জেতা সম্ভব হবে তৃণমূলের? যা শুনে দলের জেলা নেতারাও ছুড়ে দিচ্ছেন পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘কালিয়াগঞ্জে ৫৭ হাজারের ব্যবধান মেটাতে পারলে এখানে ২৭ হাজার হবে না কেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy