বৈশালী ডালমিয়ার পক্ষে মুখ খুললেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
রাজীর বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর তাঁর পক্ষ নিয়ে শুক্রবার দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। এ বার বৈশালীর হয়ে মুখ খুললেন রাজীব। বৈশালীকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে বৈশালী-বিতর্কে নিজের দলকেই বিঁধলেন ডোমজুড়ের বিধায়ক।
শনিবার একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হাওড়ার ডোমজুড়ে এসেছিলেন রাজীব। সেই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বৈশালী এমন কিছু বলেনি, যার জন্য দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা যায়।” বৈশালীকে ঘিরে গোটা ঘটনা যে ‘দুর্ভাগ্যজনক’, তেমনটাই মনে করেন রাজীব।
শুক্রবার বনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই রাজীবের পক্ষে সওয়াল করেন বৈশালী। তিনি বলেন, ‘‘রাজীবের পদত্যাগে দলের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল। শুধু দলেরই নয়, এটা সাধারণ মানুষেরও ক্ষতি। এমন এক জন দায়িত্ববান মন্ত্রীর ইস্তফা দলের জন্য সত্যিই দুশ্চিন্তার। এবং অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। সত্যিই কাজ করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। প্রত্যেকেই দলকে ভালবাসেন। কিন্তু আত্মমর্যাদাও তো রয়েছে। যাঁদের আত্মসম্মান রয়েছে, তাঁরা দিনের পর দিন এই অপমান মেনে নিতে পারেন না।’’ ওই মন্তব্যের পরেই দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়। শনিবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টও করেছেন বৈশালী। তাতে তাঁর মন্তব্য, ‘স্বাধীনতা কেউ দেয় না তা অর্জন করে নিতে হয়’।
বৈশালীর সেই ফেসবুক পোস্ট নিয়েও মুখ খুলেছেন রাজীব। তাঁর কথায়, “বৈশালী ডালমিয়ার আজকের ফেসবুকের পোস্ট তাঁর ব্যক্তিগত মতামত।” ওই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিশেষ কিছু না বললেও বৈশালীর পাশে দাঁড়িয়েই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সমর্থনযোগ্য নয় বলে জানিয়ে দেন রাজীব। তাঁর অভিযোগ, “সম্প্রতি বেশ কয়েক জন সতীর্থ অনেক মন্তব্য করলেও তাঁদের ক্ষেত্রে সতর্কীকরণ বা কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি তৃণমূল।” পাশাপাশি, তিনি নিজেও ফেসবুক, টুইটারে যে পোস্ট করেছেন, তাকে রাজনীতির বাইরে রাখার কথা বলেন রাজীব। নেতাজির ১২৫তম জন্মদিনকে মাথায় রেখে তিনি বলেন, “আজকের পবিত্র দিনটিতে অরাজনৈতিক কাজে যুক্ত থেকে ভাল লাগছে। তবে মানুষ সব দেখছে। তারাই এর বিচার করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy