—ফাইল চিত্র।
রাজভবনে কর্মরত পাঁচ জন অফিসার-কর্মীকে ফিরিয়ে নিতে বলে নবান্নে চিঠি পাঠাল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কার্যালয়। এঁদের মধ্যে চার জন অফিসার পদের এবং এক জন জমাদার। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিকল্প কর্মী-অফিসার পাঠাতে বলা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে। রাজভবনের এই আর্জি মেনে নেওয়া হবে বলেই নবান্ন সূত্রের ইঙ্গিত। তবে রাজভবনের উপর ‘নজরদারির’ তত্ত্বই এমন আর্জির উৎস কি না, সেই প্রশ্ন তুলছেন পর্যবেক্ষক মহলের অনেকেই।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে চার জন অফিসারকে বদলির আর্জি গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে তিন জন রাজ্য সরকারের কোনও-না-কোনও দফতরের অধীনস্থ কর্মী। তাঁদের ফিরিয়ে নিতে বিশেষ সমস্যা নেই। তবে চতুর্থ অফিসার এবং জমাদার রাজভবনের নিয়ন্ত্রণাধীন কর্মী। তাঁদের ক্ষেত্রে কী করা হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। যদিও রাজ্যের প্রবীণ আধিকারিকদের একাংশের মতে, এঁদেরও ডেপুটেশনে অন্যত্র পাঠানো যেতে পারে।
জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল হয়ে আসার পরে প্রায় প্রথম দিন থেকেই তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই সরকারের সমালোচনায় মুখর হচ্ছেন রাজ্যপাল। পাল্টা ঝাঁঝালো আক্রমণ করেছেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরাও। তবে সব কিছু ছাপিয়ে কয়েক দিন আগে রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, রাজভবনের উপরে নজরদারি চালানো হচ্ছে। রাজভবনের নথি চলে যাচ্ছে প্রশাসনের হাতে। রাজভবনের বেশির ভাগ অফিসার-কর্মীকে যে হেতু রাজ্য সরকারই পাঠায়, তাই নজরদারির বেনজির অভিযোগের পরে ওই অফিসার-কর্মীদের ঘিরেই প্রশ্ন উঠবে বলে অনেকের অভিমত। তাঁদের কেউ কেউ বলছেন, এই সংশয় থেকেই সম্ভবত এত জনের বদলি চেয়েছে রাজভবন। সরকারি ভাবে অবশ্য কেউই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে পৃথক একটি সচিবালয় চেয়ে রাজভবনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেই প্রস্তাব এখনও সরকারের বিবেচনাধীন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy