অষ্টমীতেও তাড়া করছে বৃষ্টির শঙ্কা। — ফাইল চিত্র।
কালো মেঘ, দমকা হাওয়া। তার সঙ্গে মাঝে মাঝে ঝেঁপে বৃষ্টি। শরৎ না বর্ষা বোঝা দায়। ষষ্ঠী থেকে সপ্তমী এই দু’দিন এমনই ছিল রাজ্যের অধিকাংশ জেলার ছবি। সোমবার অষ্টমীতেও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। উল্টে ঠাকুর দেখার আনন্দ যে বৃষ্টির জলে ভেসে যেতে পারে সেই আশঙ্কার কথাও সোমবার শুনিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
সোমবার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদের কয়েকটি এলাকায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। একই ছবি দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গেও। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর, কোচবিহারেও বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হয়েছে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও দেখা গিয়েছে দমকা হাওয়ার দাপটও। তার জেরে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে একটি পুজো মণ্ডপ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ধূপগুড়িতে ভেঙে পড়েছে একটি পুজো মণ্ডপের তোরণ। এ ছাড়া ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কোচবিহারের কয়েকটি পুজো মণ্ডপেরও। পূর্ব মেদিনীপুরে যদিও সকাল থেকে বৃষ্টির চিহ্ন মাত্র ছিল না। বেলা ৩টের পর শুরু হয় ব্যাপক বৃষ্টি।
সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বহু মানুষ মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করেছেন অঞ্জলি দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি, শুরু হয়েছে ঠাকুর দেখার পর্বও। অবশ্য আশঙ্কা উস্কে দিয়েছে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। অষ্টমীতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম এবং দুই মেদিনীপুরে ভারী বর্ষণ হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গের জন্যও। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হওয়ার জন্য সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy