ফেরা: কোচবিহারে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে স্বাগত জানালেন দলীয় কর্মীরা । বুধবার। নিজস্ব চিত্র
আগামী বছর ৩১ মার্চ, অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই উত্তরবঙ্গে ৬৬০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ করার দাবি করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ২০ দিন চিকিৎসার পর বুধবার শিলিগুড়ি ফেরেন মন্ত্রী। বিমানবন্দর থেকে এক আত্মীয়ের বাড়ি হয়ে তিনি উত্তরকন্যায় নিজের দফতরে এসে বসেন। আধিকারিক, বাস্তুকারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে কাজ শেষে তিনি রাতেই চলে যান কোচবিহারে, নিজের বাড়িতে।
দফতরের চলতে থাকা বিভিন্ন প্রকল্পের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার পর ওই দাবি করেন রবি। একই ভাবে তাঁর দফতরের সমস্ত কাজ ২০২১ সালে মার্চের মধ্যে উত্তরবঙ্গের মানুষ চোখে দেখতে পারবে বলেও জানিয়ে যান তিনি। যদিও বিরোধীদের দাবি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে কাজের গতি আগের মতো নেই। কাজ কবে শেষ হবে, তা-ও আগাম বলা কঠিন।
রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, ‘‘আমরা মোট ১২১০ কোটি টাকার কাজের খতিয়ান তৈরি করেছিলাম। টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে ৭২১ কোটি টাকা আসে। বিভিন্ন পুরানো কাজ, নতুন কাজ মিলিয়ে ওই হিসেব রয়েছে। তবে ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে বাজেট বরাদ্দে আমরা শেষ অবধি ৬৬০ কোটি টাকা পেয়েছি। সেই টাকার কাজই চলছে। মার্চ মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।’’
ওই বরাদ্দ টাকায় অগ্রাধিকার দিয়ে ৪২৫টি প্রকল্পের কাজ চলছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। এরমধ্যে শিক্ষা দফতর, পূর্ত দফতর-সহ বিভিন্ন দফতরের কাজও রয়েছে।
এ দিন মন্ত্রী শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় আসতেই তাঁকে সুস্থ হয়ে ফেরার জন্য কর্মী, অফিসারেরা শুভেচ্ছা জানান। শহরের কাউন্সিলর নান্টু পালও উত্তরকন্যায় গিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। ।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে চিকিৎসকের কিছু সমস্যা রয়েছে ঠিকই। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ট্রমা সেন্টার চালু হচ্ছে না। সেই সঙ্গে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গুলি চিকিৎসক, টেকনিশিয়ানের সমস্যা মিটতে আরও ৩-৪ বছর লাগবে।’’
কোচবিহারে সকাল থেকেই ছিল অপেক্ষা। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মন্ত্রী বাড়ি পৌঁছন। গাড়ি থেকে নেমে কিছুক্ষণ তিনি কর্মীদের সঙ্গে গল্প করেন। বলেন, “একটানা ২০ দিন বাড়ির বাইরে কখনও থাকিনি। এবারে থাকলাম।” কিছুক্ষণ থেমে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বেঁচে ফিরলাম।” কর্মীদের প্রতি তিনি বলেন, “আপনারা মানুষের পাশে থাকবেন।” এরপর তিনি জানান, এক মাস বিশ্রাম নিতে বলেছেন ডাক্তাররা। তারপরেই বাড়ির ভিতরে চলে যান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy