দেহ উদ্ধারের পর আরজি করের সেমিনার হলে জমায়েত। ছবি: প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়ো থেকে।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীর মৃত্যুর পরে সেমিনার রুমের যে ভিডিয়ো (আনন্দবাজার পত্রিকা সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি) প্রকাশ্যে এসেছে, সেটিতে দেখা গিয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসককে। তিনি সেখানে কী করছিলেন, প্রশ্ন উঠেছে এই ভিডিয়ো দেখে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে বছরখানেক ধরে সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত বিবেক ভক্তের অবশ্য দাবি, তিনি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক বিভাগের প্রাক্তনী। চিকিৎসক পড়ুয়াদের সহমর্মী হিসেবেই সে দিন ওখানে গিয়েছিলেন।
২০২২ সালে আর জি কর থেকে এমডি করেন বিবেক। তাঁর দাবি, এই ঘটনার দিন কলকাতায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে বর্ধমানে যাচ্ছিলেন। পথে এক জুনিয়রের কাছে ঘটনার কথা শোনেন। কাছাকাছি ছিলেন বলেই হাসপাতালে যান। তাঁর দাবি, ‘‘আমি যখন সেমিনার রুমের কাছে যাই, শ’দেড়েক লোক ছিলেন। জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তার, ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগ এবং মৃত ছাত্রীর বিভাগের চিকিৎসকেরাও ছিলেন। পুলিশের প্রচুর লোকও ছিলেন।’’ কলকাতা পুলিশ যেমনটা জানিয়েছে, প্রায় ৪০ ফুট জায়গা ঘিরে রাখা হয়েছিল, কেউ তার ভিতরে ঢোকেননি, সে কথা ঠিক বলে দাবি বিবেকেরও।
তবে তাঁর উপস্থিতি সন্দেহজনক বলে দাবি করে নানা মহলের প্রশ্ন, বিবেককে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না? ‘অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স’-এর যুগ্ম সম্পাদক সুবর্ণ গোস্বামীর অভিযোগ, “বর্ধমান মেডিক্যালের তিন জন ডাক্তার সে দিন আর জি করের সেমিনার রুমে উপস্থিত ছিলেন। মেয়েটির বাবা-মা পৌঁছতে পারলেন না, কিন্তু ওঁরা কী ভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলেন? ষড়যন্ত্র কি না, জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।’’
বিবেক অবশ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ঘটনার ১৯-২০ দিন পরে এই ধরনের ভিডিয়ো ‘ভাইরাল’ করে কী লাভ? যাঁরা এই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়াচ্ছেন, তাঁরা ন্যায় বিচার চান, না কি অন্য কিছু, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। তাঁর দাবি, কিছু মুখকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, থিকথিক ভিড়ে কলকাতা পুলিশ এবং হাসপাতালের অনেক কর্তা রয়েছেন। বহিরাগত লোকজনও ছিলেন বলে অভিযোগ। কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠেরা হাজির ছিলেন বলে দাবি করেছেন অনেকে। বিবেকের দাবি, সন্দীপকে অধ্যক্ষ হিসাবে চেনা ছাড়া, আলাদা পরিচয় ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘ঘৃণ্য অপরাধ হয়েছে। ন্যায়ের জন্য সবাই আন্দোলন করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy