মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই প্রশ্ন বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই ইন্টারনেটে প্রশ্ন বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। শুক্রবার বাংলা পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষের আগেই ফোনে ফোনে ঘুরতে দেখা যায় প্রশ্নপত্র। কেউ বা কারা ছবি তুলে ওই প্রশ্ন সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যে প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছে, পরীক্ষা শেষের পর ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া আসল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হয়েছে। প্রশ্ন হুবহু মিলে গিয়েছে। অর্থাৎ, আসল প্রশ্নপত্রের ছবিই কেউ তুলে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় পরীক্ষা শেষের এক ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পর্ষদ। মালদহের দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
প্রতি বছর মাধ্যমিকের প্রশ্ন পরীক্ষার আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। সেই সম্ভাবনা এড়াতে এ বছর বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পাতা হয়েছিল বিশেষ ‘ফাঁদ’। প্রশ্নপত্রের মধ্যেই সেই ফাঁদ লুকিয়ে ছিল।
প্রশ্নপত্রগুলি এ বছর এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে কেউ তার ছবি তুললে তাকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। প্রশ্নপত্রে প্রত্যেক প্রশ্নের পাশে একটি করে কিউআর কোড ছেপেছিল পর্ষদ। কেউ ছবি তুললে সেই কিউআর কোডের সূত্রেই ছবিটি কোথা থেকে তোলা হয়েছে, তা চিহ্নিত করা সম্ভব বলে জানিয়েছিল পর্ষদ। রাজ্যের যে কোনও প্রান্ত থেকেই প্রশ্নের ছবি তোলা হোক না কেন, পর্ষদ তা জানতে পারবে বলে দাবি করেছিল। সেই ফাঁদেই পা দিয়েছেন মালদহের দুই পরীক্ষার্থী।
পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী, শুক্রবার প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রশ্নের ছবি তোলা নিষিদ্ধ। যদি কেউ ছবি তোলে, তবে তাকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়ার কথা পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের। সেই মতোই পর্ষদ থেকে নির্দেশিকা এসেছিল। কলকাতার বেশ কয়েকটি স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষিকারা পরীক্ষার্থীদের পর্ষদের নির্দেশিকা জানিয়ে পরীক্ষা শুরুর আগেই সতর্ক করেছেন।
শুক্রবার মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা শেষ হয়েছে বেলা ১টায়। দুপুরে পর্ষদ সাংবাদিক বৈঠক করবে। তার আগে পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তিনি জানান, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সমাজমাধ্যমে বেরিয়ে যাওয়ার যে ঘটনা ঘটে, এক ঘণ্টার মধ্যেই তাতে দোষীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। একে পর্ষদ নিজেদের সাফল্য হিসাবেই দেখছে। রামানুজ বলেন, ‘‘মালদহের দুই পরীক্ষার্থী এই কাজ করেছে। ইতিমধ্যেই তাদের শনাক্ত করা গিয়েছে। তাদের পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে গিয়েছে। মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনই বাতিল করে দিয়েছে পর্ষদ।
এ বছর প্রায় ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক দিচ্ছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বেশ কিছুটা এগিয়ে আনা হয়েছে। এ বছর পরীক্ষা শুরু হচ্ছে প্রতি দিন সকাল ১০টা থেকে। ৯টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে প্রশ্নপত্র পেয়ে যাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। প্রশ্নপত্রে কিউআর কোড বসানোর পদ্ধতি এ বছর প্রথম চালু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy