সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে বকেয়া টাকার দাবিকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ বার বিধানসভায় গিয়ে দলের বিধায়কদের কাছে সেই সংক্রান্ত প্রশ্ন শুনতে হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।
শীতকালীন অধিবেশনে শুরুর দিনে শুক্রবার বিধানসভায় গিয়েছিলেন সুকান্ত। পরিষদীয় দলের ঘরে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ-আলোচনা করেন তিনি। যদিও সেখানে তখন ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে বিজেপি বিধায়কেরা ১০০ দিনের বকেয়া নিয়ে তৃণমূলের বিজেপি-বিরোধী প্রচার নিয়ে প্রশ্ন করেন রাজ্য সভাপতিকে। উত্তরে সুকান্ত তাঁদের আইনের কথা বলেন। তবে প্রকাশ্যে এই নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি।
সুকান্ত এ দিন দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়েছিলেন। মিষ্টির পাশাপাশি বিধায়কদের জন্য উপহারও নিয়ে গিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, বিধায়কদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশিই আগামী ২৯ নভেম্বর ধর্মতলার সমাবেশে জমায়েতের জন্য বাড়তি উদ্যোগী হতে বলেন সুকান্ত। সমাবেশের জন্য আদালতের রায় পক্ষে যাওয়ায় বিরোধী দলনেতাকে বিশেষ কৃতিত্ব দেওয়ার পাশাপাশি তিনি বলেন, নবান্ন অভিযানের মতো তাঁদের বলার সুযোগ নেই যে, বাধা দেওয়া হয়েছে। তাই প্রত্যেককে ভাল জমায়েতের দায়িত্ব নিতে হবে। সূত্রের খবর, সেই প্রসঙ্গেই উঠে আসে বকেয়া নিয়ে তৃণমূলের বিজেপি-বিরোধী প্রচারের বিষয়টি। সুকান্ত নিজেই সেই প্রসঙ্গে বলেন, অনেকেই আছেন যাঁরা সত্যিই কাজ করেছেন, কিন্তু তাঁদের টাকাও আটকে আছে তৃণমূলের চুরির কারণে। এর পরেই বিজেপির অন্তত তিন জন বিধায়ক প্রশ্ন করেন, যাঁরা ন্যায্য প্রাপক অথচ তাঁদের টাকা আটকে আছে তাঁদের কী হবে? এই নিয়ে তৃণমূল যে ভাবে প্রচার করছে, তার প্রভাব নির্বাচনে পড়বে না তো? সুকান্ত তখন বলেন, চুরি হলে, হিসেব না দিলে টাকা আটকে যাবেই। এটাই আইন। এই বিষয়টি তাঁদের বোঝাতে হবে। সেই সঙ্গে বলেন, বিধায়করা বুথ ধরে ধরে এই রকম ন্যায্য প্রাপকদের তালিকা তৈরি করতে পারেন। প্রয়োজনে তাঁদের দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লেখানো হবে, যাতে অন্তত তাঁরা নিজেদের প্রাপ্য টাকা পান।
বৈঠকের পরে বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বলেন, ‘‘বিজয়া ও দীপাবলির সময়ে রাজ্য সভাপতির প্রচুর কাজের চাপ ছিল। বিধায়কদের সঙ্গে ওঁর দেখা হয়নি। তাই এ দিন তিনি আমাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও বিজয়ার উপহার দিতে এসেছিলেন।” সুকান্ত জানান, বিধায়কদের সঙ্গে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ করতে এসেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘তার পরে নানা বিষয়ে মত বিনিময় হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়।’’ রাজ্যের বকেয়া টাকার প্রশ্নে তাঁর বক্তব্য, ‘‘গরিব মানুষের নাম করে টাকা যায় তৃণমূল নেতাদের হাতে। ফলে, কারা গরিব মানুষ, তা চিহ্নিত করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy