পলতা ও ইছাপুরের মাঝে রেললাইন থেকে রবিবার রাতে উদ্ধার হয়েছিল কলেজপড়ুয়া দিগন্ত সরকারের দেহ। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দিগন্তের প্রেমিকা এবং আরও দুই তরুণকে আটক করেছে রেলপুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ছাত্রের মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা চলছে। রেলপুলিশের শীর্ষ আধিকারিকেরাও ওই তিন জনকে জেরা করবেন। তার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে।
তবে তদন্তে নেমে একাধিক প্রশ্ন ভাবাচ্ছে পুলিশকে। প্রথমত, রবিবার মাঝরাতে পলতা স্টেশনে কে ডেকেছিল দিগন্তকে? ওই ছাত্রের বন্ধু এবং পরিজনেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, দিগন্তের স্কুলপড়ুয়া প্রেমিকাই তাঁকে ফোন করে ডেকেছিল। যদিও অভিযুক্ত কিশোরী দাবি করেছে, দিগন্তই তাকে রাতে স্টেশনে ডেকেছিল। দ্বিতীয়ত, অত রাতে কেন দিগন্তের সঙ্গে একা দেখা করতে এল একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী, তার সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি সে। ওই দিন আরও দুই তরুণ কী ভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছল? সেই প্রশ্নেরও উত্তর মেলেনি। ওই দুই তরুণ পুলিশের কাছে দাবি করেছে, তারা দিগন্ত বা ওই ছাত্রীকে চিনত না। রবিবার রাতে রেললাইনের ধারে দুর্ঘটনা ঘটেছে জানতে পেরে তারা দিগন্তকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ওই কিশোরী পুলিশের কাছে আরও দাবি করেছে, ট্রেনের ধাক্কাতেই মৃত্যু হয়েছে দিগন্তের। কিন্তু ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হলে দিগন্তের শরীরে আর কোনও ক্ষত থাকবে না কেন? উত্তর খোঁজা হচ্ছে এই সব প্রশ্নের।
নৈহাটি থানার পুলিশ জানিয়েছে, তারা রেল কর্তৃপক্ষের থেকে এখনও পর্যন্ত মেমো না পাওয়ায় পুরো ঘটনা জানতে পারেনি। রবিবার ওই সময়ে কোন ট্রেন ওই এলাকা দিয়ে গিয়েছিল, তা জানতে পারলে সেই ট্রেনের চালক এবং গার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। জিজ্ঞাসা করা হবে, কেউ ট্রেনের ধাক্কায় জখম হয়েছিল কি না। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে ওই ছাত্রের মৃত্যু-রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy